লকডাউনের সময় কোনো সংস্থা ইচ্ছে করলেই কর্মীকে বেতন নাও দিতে পারে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত আগের নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যে নির্দেশিকায় বিভিন্ন সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয়েছিলো – লকডাউনের সময় কোনো কর্মীর বেতন না কাটার। রবিবার এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৫ এর ধারা অনুসারে ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির আগের সমস্ত নির্দেশ প্রত্যাহার করা হল। ১৮ মে থেকে এই নির্দেশ কার্যকরী হবে। গত ২৯ মার্চ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল -লকডাউনের কারণে বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সমস্ত দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকারীকে তাদের কর্মীদের নির্ধারিত সময়ে মজুরি দিতে হবে। কোনো সংস্থা কোনো মজুরি কাটতে পারবেনা বলেও জানানো হয়েছিলো ওই নির্দেশিকায়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলো একাধিক সংস্থা। গত শুক্রবার শীর্ষ আদালত সরকারকে জানায় – সরকার যেন এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে যাতে কোনো বেসরকারি সংস্থা স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশিকা অনুসারে কর্মীকে লকডাউনের সময় বেতন না দিলে অসুবিধেয় পরে। শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ ওইদিন জানায়, সরকারের এই নির্দেশ বাস্তবসম্মত নয়। কারণ বহু ছোটো এবং মাঝারি বেসরকারি সংস্থারই লকডাউনের সময়ে তাদের কর্মীদের বেতন দেবার ক্ষমতা নেই। সরকারের উচিৎ ২৯ মার্চের এই সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন।
প্রতীকী ছবি।