দেশ

জিএসটি নিয়ে কথার খেলাপ করছে কেন্দ্র, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে আরও ৫টি অবিজেপি রাজ্য

করোনা আবহে বকেয়া পড়েছে রাজ্যগুলির জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণ। তা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বারবার আবেদন করেও লাভ হয়নি। তাই এবার সোজাসুজি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো বজায় রাখার আবেদন জানালেন তিনি। করোনার আগে থেকেই দেশের অর্থনীতি ধুঁকছিল। এরপর করোনার জেরে একপ্রকার কোমর ভেঙে গিয়েছে দেশের অর্থব্যবস্থার। অধিকাংশ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকার ফলে রাজকোষেও টান পড়ছে। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাসে (এপ্রিল থেকে জুন) যেখানে ৩.১৪ লক্ষ কোটি টাকা জিএসটি আদায় হয়েছিল, সেখানে এবছর হয়েছে মাত্র ১.৮৫ লক্ষ কোটি টাকা। জিএসটি আদায়ের হার প্রায় অর্ধেক হয়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এরপরই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘জিএসটি নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে তাতে আমি গভীর ভাবে ব্যথিত। এটি ভারত সরকারের নৈতিক প্রতিশ্রুতিভঙ্গের সামিল। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোরও পরিপন্থী।’ এ প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘২০১৩ সালে অরুণ জেটলি বলেছিলেন, তত্‍কালীন কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেবে না বলে জিএসটি রূপায়ণের বিরোধিতা করছি। ১৪ মার্চ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, জিএসটি ক্ষতিপূরণ দিতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এখন নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে পারছে না বিজেপি।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘জিএসটি ক্ষতিপূরণ না পেলে রাজ্যগুলিকে কোটি-কোটি টাকা ধার করতে হবে। তাতে রাজ্যগুলির অবস্থা আরও করুণ হবে।’ এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ঋণ নিলে কম সুদ দিতে হয়। তই কেন্দ্রের উচিত্‍ টাকা ধার করে রাজ্যগুলিকে দেওয়া।’ তবে একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে আরও পাঁচ’টি অবিজেপি রাজ্য। এঁদের মধ্যে রয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই কে পালানস্বামী, ছত্তিশগড়ের ভূপেশ বাঘেল ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।