বিশ্ব আদিবাসী দিবসে মানুষের সঙ্গে মিশে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রামে পৌঁছে সকলকে আদিবাসী দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের কৃতী মানুষদের সংবর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিশিষ্টদের সম্মান জানানো হয়। পূর্ব পরিকল্পনা মতোই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতি ছাত্রছাত্রীদেরও সংবর্ধনা দেন তিনি। আদিবাসী দিবসে জঙ্গলমহলে দাঁড়িয়েই তাঁদের অধিকার নিয়ে কথা বলেন তিনি। ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে আয়োজিত বিশ্ব আদিবাসী দিবসে অনুষ্ঠানে মঞ্চে আদিবাসী নৃত্যের তালে মেতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী সমাজের বীর শহিদ সিধু-কানহুর ছবিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। মঞ্চে উঠে মমতা প্রথমেই বন্যার কথা উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঝাড়গ্রাম জেলা প্রকৃতি মায়ের জেলা। তবুও অনেক জেলায় বন্যা হয়েছে। আমি আসার সময় ছবি তুলেছি। ডিভিসির জল ছেড়ে দিয়েছে।জল ছাড়ার কারণে বন্যা হয়েছে। ডিভিসি-র ছেড়ে দেওয়া জলে বাগনান-সহ বিস্তৃর্ণ এলাকা জলমগ্ন।”চলতি বছর এখনও পর্যন্ত এক কোটি কুড়ি লক্ষ সাইকেল দেওয়া হয়েছে, এখনও প্রায় ন’লক্ষ সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল দেওয়া হবে। এমন কথাও জানান মমতা। এছাড়া মাঝি থানের প্রধান পুরোহিতদের প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন মমতা। বাংলার পড়শির তিন রাজ্য অসম, ওডিশা, ঝাড়খণ্ড থাকলেও সেখানে সাঁওতালি ভাষায় পড়াশোনা হয়। শুধু পশ্চিমবাংলাতেই সাঁওতালি ভাষায় পড়াশোনা হয় বলে মমতা জানান। আদিবাসী এলাকায় ১০০ টি স্কুল এবং অলচিকি হরফের জন্য ৫০০টি স্কুল তৈরি করা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান।