জেলা

নন্দীগ্রামে জয়ী মমতা, নাকি শুভেন্দু ? শুরু তীব্র বিতর্ক, ‘গণনা এখনও শেষ হয়নি’, দাবি তৃণমূলের

চূড়ান্ত বিতর্কিত ঘটনা। জয়ী বলে ঘোষণা করার পরেও পরে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হল, নন্দীগ্রামে জয়ী হননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরঞ্চ জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাও ১৯৫৩ ভোটে। এটাই নন্দীগ্রামের রায়। কমিশনের বক্তব্য, সার্ভার বসে যাওয়ায় নাকি তাঁদের কাছে পূর্ণ তথ্য আসেনি। তাই সব ফলাফল সময় মতো তুলে ধরা যায়নি। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু হারেননি, হেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এদিন মমতা জানিয়েছেন গোটা বিষয়টি নিয়েই তিনি সুপ্রিম কোর্টে সাংবিধানিক বেঞ্চে যাচ্ছেন। সেখানেই এই ঘটনার বিচার চাইবেন তিনি। কীভাবে জয়ী বলে ঘোষণা করার পরেও তাঁকে পরাজিত বলে ঘোষণা করা হল তার যথাযথ তদন্ত চাইবেন তিনি। কার্যত কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে সাংবিধানিক বেঞ্চে যাওয়ার কথা এদিন জানিয়ে দিলেন মমতা। এদিন সকাল থেকেই নন্দীগ্রামে কার্যত কাঁটায় কাঁটায় লড়াই চলেছে মমতা ও শুভেন্দুর মধ্যে। যদিও সকাল থেকেই এদিন এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এক সময় তো প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। যদিও পরে সেই লড়াইয়ে আবারও দুর্দান্ত ভাবে ফিরে আসেন তৃণমূলনেত্রী। ১৭তম রাউন্ডের শেষে একসময় সংবাদসংস্থা এএনআই টুইট করে জানায়, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে ১২০০ ভোটে জিতেছেন মমতা। এমনকি নির্বাচন কমিশন থেকেই অঘোষিত ভাবে সেটাই জানানো হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই কমিশনই জানায় মমতা নন, জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু। আর তার জেরেই রাজ্য তথা দেশ জুড়ে ধোঁয়াশা দেখা দেয় যে নন্দীগ্রামে ঠিক কে জিতেছেন তা নিয়ে। যদিও মমতা এই ঘটনা নিয়ে জানান, ‘নন্দীগ্রামের মানুষের রায় মেনে নিচ্ছি। কিন্তু ওখানে ভোট লুঠ হয়েছে। তাই আমরা আদালতে যাব আমরা। আমি খুব ভালো ভাবে জানি ওখানে ঠিক কী হয়েছে। প্রথম থেকেই এই বদমাইশিটা চলছে। ওখানে তিন-চারবার জয়ী ঘোষণা করার পরেও কীভাবে জানানো হল আমি হেরে গিয়েছি সেটা তদন্ত করা হবে। আমরা আদালতেও এটা জানাবো। আমরা পুনর্গণনাও করতে বলেছি।’ তবে মমতার এই বিবৃতির পরেই তৃণমূলের তরফে টুইট করে জানানো হয়, ‘নন্দীগ্রামে গণনা এখনও শেষ হয়নি। কমিশনও চুড়ান্ত ভাবে কিছু জানায়নি। তাই দয়া করে ভুলভাল রটনা করবেন না।’