আফগানিস্তানের ভয়াবহ পরিস্থিতি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তালেবানদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে আফগানীরা। তাদের অকথ্য অত্যাচার যা সোশ্যাল মিডিয়া প্লার্টফর্ম গুলিতে বেশ ভাইরাল হয়েছে। কিছু ভিডিও দেখলে রক্ত হিম হয়ে যাওয়ার অবস্থা। এককথায় বলা চলে আফগানিস্তানে শুরু হয়েছে তালিবান-রাজ। আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় ফেরার পর দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। তালিবানের জঙ্গিদের কাবুল এয়ারপোর্টে মহিলা আর বাচ্চাদের উপর হামলা বুঝিয়ে দেয় যে, মহিলাদের নিরাপত্তা আর স্বাধীনতা কতটা। আর এই তালেবানদের অত্যাচার থেকে নিস্তার পেতে আফগানিস্তান থেকে ভারতে চলে আসেন এক মহিলা। নাম মুস্কান। ওই মহিলা আফগানিস্তানে পুলিশ বাহিনীতে কাজ করতেন এবং তালেবানদের ভয়ে ভারতে এসেছিলেন এখন নয়াদিল্লিতে বসবাস করেন। এক সংবাদমাধ্যমের কাছে বিবৃতি দিয়ে মুস্কান জানান যে জিহাদি গোষ্ঠীর দ্বারা তাকে হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাই বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে ভারতে আসতে হয়েছে। শুধু আমাকেই নয়, রীতিমত আমার পরিবারকেও হুমকি দেওয়া হত। তালেবানরা মহিলাদের তুলে নিয়ে যায় এবং তাদের গুলি করে। তিনি আরও বলেন, “তারা মৃতদেহকেও ধর্ষণ করে। দেহটি মৃত না জীবিত তা তারা গুরুত্ব দেয় না । লাশের সাথে যৌন মিলনের অভ্যাসকে বলা হয় নেক্রোফিলিয়া । এটা কি আদেও কল্পনা যোগ্য? সেটিও বলেন তিনি । মুস্কান বলেছিলেন যে যদি কোনও মহিলা সরকারের পক্ষে কাজ করে তবে তারা একটি ভয়াবহ পরিণতির শিকার হবে। এর আগে, এটা জানা গিয়েছিল যে আফগানিস্তানের একমাত্র মেয়েদের বোর্ডিং স্কুলের সহ প্রতিষ্ঠাতা তার মেয়েদের এবং তাদের পরিবারের সুরক্ষার জন্য সমস্ত নথিপত্রে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। স্কুল অফ লিডারশিপ আফগানিস্তানের (এসওএলএ) অধ্যক্ষ শাবানা বাসিজ-রশিখ বলেন, তার উদ্দেশ্য ছিল তাদের মুছে ফেলা নয় বরং শিক্ষার্থীদের ও তাদের পরিবারকে তালেবানদের হাত থেকে রক্ষা করা। গত ২০১৮ সালে ভারতে আসা আরেক মহিলা বলেছিলেন যে তার বাবা তালেবানদের গুলিতে নিহত হয়েছেন কারণ তিনি পুলিশের জন্য কাজ করতেন। পরিবারের আরেক সদস্যকেও গুলি করা হয়েছিল কারণ তিনি আফগান সেনাবাহিনীর একজন চিকিত্সক হিসাবে কাজ করেছিলেন।