দুপুরের পর থেকে জেলায় জেলায় বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া। সঙ্গে বজ্রপাত আর শিলাবৃষ্টি। বজ্রপাতে মৃত্যু হল ১৭ জনের। ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদে। পূর্ব বর্ধমানে ৪, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩, হাওড়ায় ৩ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ২ জনের। জখম ১৬ জন। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টি চলবে। সঙ্গে ঝড়। তবে শুক্রবার তুলনামূলক বৃষ্টি কম হবে। টানা তাপপ্রবাহের পর গত সপ্তাহের শেষ দিকে বৃষ্টিতে স্বস্তি আসে। মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড় হয়। তারপর তাপ কিছুটা বাড়তে শুরু করেছিল। বৃহস্পতিবারের বৃষ্টি, ঝড়ে তাপমাত্রা ফের কমে গেল। জেলাগুলির পাশাপাশি বৃষ্টি হয় কলকাতা, শহরতলিতেও। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের পশ্চিমে বিদর্ভে দানা বেঁধে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। সেটি পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। তার প্রভাবে রবি, সোমবারে বৃষ্টি আরও বেড়ে যেতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গেও। রবিবার থেকে সেখানে কোথাও কোথাও এক পশলা ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। বাংলাদেশের পূর্ব অংশে আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত দানা বেঁধেছে। আপাতত এটির প্রভাব বাংলায় পড়ার সম্ভাবনা কম। আজ থেকে টানা ৫ দিন উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।