সাম্প্রতিক কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, এই ওষুধ কার্যকর নয়, বরং তা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। তাই ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলো থেকে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যেই বুধবার প্রকাশিত নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনের একটি প্রতিবেদনে উঠে আসছে, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সুস্থ ব্যক্তিদের কোরনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারেনি। ইউনির্ভাসিটি অব মিনেসোটা মেডিক্যাল স্কুল শরীরে প্রতিরোধমূলক অবস্থা গড়ে তুলতে এই ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করেছিল। তাতেই দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্পের প্রিয় ওষুধ শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে কার্যকর হয়নি। করোনাভাইরাস বিশ্বে মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই যে কয়েকটি ওষুধ নিয়ে আলোচনা চলেছে তারমধ্যে অন্যতম হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। সম্প্রতি বিশ্বের বিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটের প্রতিবেদনেও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু দিন আগে দ্য ল্যানসেট এক প্রতিবেদনে জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমিত রোগীদের চিকিত্সায় ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহারে মৃত্যুহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সেইসঙ্গে রোগীদের মধ্যে হৃদপিণ্ডজনিত বিভিন্ন সমস্যাও প্রকট আকার ধারণ করেছে। ১৫ হাজার রোগীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণা থেকে এসব তথ্যই পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়।