বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের হার হজম করতে পারিনি মোদি সরকার। আর তাই প্রতি হিংসা থেকেই রাজনীতি শুরু করেছে। শনিবার নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন মাসের জন্য মুখ্যসচিবের মেয়াদকাল বাড়িয়েও ফের থেকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুমতি পত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরলেন তিনি। প্রতিহিংসা থেকেই মুখ্যসচিবকে বদলির সিদ্ধান্ত বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কী দোষ করেছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়? রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই কিভাবে বদলির নির্দেশ দিল কেন্দ্র? এদিন মুখ্যসচিব বদলি নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, যখন আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সামলানোর চেষ্টা করছি, যখন মানুষ কীভাবে জল পাবে তা দেখতে ব্যস্ত ছিলাম তখন দিল্লিতে আমাকে দুর্নাম করতে ব্যস্ত ছিল।’ এর পরই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলার জন্য প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী পায়ে পড়তে পারি। প্রধানমন্ত্রী, আমার উপর আপনার রাগ থাকতে পারে। যদি আপনার পায়ে পড়লে সেই রাগ চলে যায় তাও করতে তৈরি আমি। কিন্তু বারবার এভাবে অপমান করবেন না।’ এ কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান অর্থাত্ ২৩ জানুয়ারির ঘটনার কথাও তুলে আনেন। তাঁর কথায়, সেই সরকারি অনুষ্ঠানেও তাঁকে অপমান করা হয়েছিল। মমতার কথায়, ‘ এবারও প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকের নামে বিজেপির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে আমরাও গিয়েছিলাম। কিন্তু তার পরেও মিথ্যা খবর ছড়িয়ে বদনাম করা হচ্ছে।’