দিল্লি পুলিশের অনুরোধ রাখতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। চলতি বছরের শুরুতে রাজধানীর উত্তর-পূর্বে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল, সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে তিন জেলার ভোটারদের অনলাইন তালিকা চেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু তা সম্ভব নয়। বরং নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সশরীরে এসে ভোটার তালিকা দেখে যাওয়ার জন্য। সাকেত গোখলের একটি চিঠি সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে জানা গেছে, গত মার্চে দিল্লি পুলিশের তরফে শাহদারা, উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব দিল্লির ভোটারদের ডিজিটাল ডেটাবেস চাওয়া হয়েছিল। সিসিটিভি ও বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে হিংসার মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল যাদের বিরুদ্ধে, তাদের চিহ্নিত করার জন্যই অনলাইন ভোটার তালিকা চেয়েছিলেন এই ঘটনায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা অফিসাররা। দিল্লি পুলিশের তরফে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে মার্চের প্রথম সপ্তাহে চিঠি দিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব। পুলিশ সূত্রে খবর, একই অনুরোধ করা হয়েছিল রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের কাছে। তদন্তের স্বার্থে ওই তিন জেলার ড্রাইভিং লাইসেন্সের একটি করে কপি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর নির্বাচন কমিশন নীতিগতভাবে ভোটারদের ডিজিটাল ডেটাবেস দিতে অস্বীকার করেছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, ‘দিল্লি পুলিশ ভোটারদের ডিজিটাল ডেটাবেস পরীক্ষা করতে চেয়েছিল। কোনও সংস্থা যদি তদন্তের স্বার্থে আমাদের সহযোগিতা চায়, আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু আমরা আমাদের নীতি থেকে সরে আসতে পারি না। তাই অনলাইন ভোটার তালিকা দেওয়া সম্ভব নয়। শারীরিকভাবে ভোটার তালিকা দেখতে আসতেই পারেন দিল্লি পুলিশের কর্তারা। কিন্তু ডিজিটাল ডেটাবেস শেয়ার করা সম্ভব নয়।’ এরপর দিল্লি পুলিশ আর এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেনি। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভোটার তালিকা পরীক্ষা করতেই পারে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তদের ছবির সঙ্গে ভোটার তালিকায় থাকা ভোটারদের ছবি বিশেষ সফটওয়ারের মাধ্যমে মিলিয়ে দেখা নির্বাচন কমিশন সমর্থন করে না।
ফাইল চিত্র।