কৃষকদের স্ত্রী ও সন্তানরা কষ্ট পাচ্ছেন। তাতেও সরকার নির্বিকার। এই অভিযোগ তুলে শনিবার বিজেপি ছাড়লেন প্রাক্তন সাংসদ হরিন্দর সিং খালসা। বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন নিয়ে পাঞ্জাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বিজেপি নেতারা। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হরিন্দর সিং খালসা আপের হয়ে পাঞ্জাবের ফতেগড় সাহিবে প্রার্থী হন। ২০১৯ সালে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। গত রবিবার কেন্দ্রীয় সরকার আন্দোলনরত কৃষকদের উদ্দেশে আহ্বান জানায়, আসুন, আমরা আরও একবার আলোচনায় বসি। কবে আলোচনা হবে তা আপনারাই ঠিক করুন। শনিবার ৪০ টি কৃষক ইউনিয়ন সরকারের এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসে। পরে তারা সরকারকে চিঠি দিয়ে জানায়, ২৯ ডিসেম্বর আলোচনায় বসা যেতে পারে। একইসঙ্গে তারা জানায়, তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। শুক্রবার কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীদের অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নতুন আইনে কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া হবে না। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। শুক্রবারই মোদী প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্পে ১৮ হাজার কোটি টাকা দেন। শনিবার দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলন ৩১ দিনে পড়ল। ইতিমধ্যে কৃষক ইউনিয়নগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের পাঁচ দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। সরকারের নতুন প্রস্তাব নিয়ে শনিবার দুপুর তিনটেয় দিল্লি সীমান্তে সিংঘু অঞ্চলে আলোচনায় বসেন কৃষক নেতারা। এদিনই দিল্লির পুলিশ কমিশনার অলোক বর্মা সিংঘু অঞ্চলে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।