খাদান থেকে তোলা বালি এবার নিজেই বিক্রি করবে রাজ্য সরকার। পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে বালি কেনার আবেদন করা যাবে। সেই মতো তা পৌঁছে যাবে ক্রেতার কাছে। বালি তোলায় যেমন থাকছে কড়া নজরদারি, তেমনই তা পরিবহণ করার ক্ষেত্রেও ‘জিপিএস ট্র্যাকিং’ থাকবে। ফলে খাদান থেকে বালি তোলা, গুদামজাত করা, পরিবহণ এবং তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার পুরো বিষয়টাই হবে অনলাইনে। আর এ নিয়ে বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে থাকছে ২৪x৭ কন্ট্রোল রুমও। বালির মতোই ‘ব্ল্যাক স্টোন’ উত্তোলনও এবার মাইনিং অ্যান্ড মিনারেলস ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের ছাতার তলায় আনা হচ্ছে। বুধবার নবান্নে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ডের বৈঠক হয়। রাজ্যে শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে যাবতীয় সমস্যার সমাধান দ্রুত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই বোর্ডের বৈঠকে ছিলেন অর্থ, শিল্প, বিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীরা ছিলেন। বৈঠকের পর মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, অবৈধভাবে বালি তোলা থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে একদিকে যেমন পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হত, তেমনই রাজ্য সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্বেরও ক্ষতি হত। মুখ্যমন্ত্রী তাই আগেই এর জন্য বিস্তারিত পরিকল্পনা করেন। পুরো বিষয়টি দেওয়া হয় মাইনিং অ্যান্ড মিনারেলস ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের হাতে।