জেলা

বাংলার কৃষকদের পাশে রয়েছে রাজ্য সরকার, বর্ধমানে মাটি উৎসবের সূচনায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ পূর্ব বর্ধমান জেলায় অবস্থিত মাটি তীর্থে মাটি উৎসবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষির উন্নয়নের জন্য, এবং কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা এক ছাতার তলায় সমাধান করতেই এই মাটি উৎসবের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এদিন মাটি উৎসবের সূচনা করতে গিয়ে দাবি করেন, বাংলার কৃষকদের পাশে রয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রায় ৭৬ লক্ষ কৃষক কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায়। এর মধ্যে ৫ হাজার টাকা করে পেয়েছেন ৫৫ লক্ষ কৃষক। বাকি ২০ লক্ষ কৃষকের কাছে সরকারি অর্থ পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে কৃষকদের জন্য শস্যবিমার পুরো টাকাটাই দিচ্ছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, কৃষক বন্ধুতে সাহায্য পেতে দুয়ারে সরকারে আবেদনের পদ্ধতির তিনিই সরলীকরণ করেছেন। এবার কৃষকরা কাগজে আবেদন করলেই সুবিধা প্রাপকদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। বর্ধমানকে মাটি উৎসবের সূচনা করে কেন্দ্রের বিজেপির সরকারের প্রতি তোপ দাগলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন তিনি অভিযোগ করেন, উত্তর প্রদেশ হরিয়ানা থেকে বেশি ধান কেনে কেন্দ্র। রাজ্যে কৃষকদের যে যে সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তাও এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি নেতারা পিএম কিষাণ প্রকল্প নিয়ে সভায় সভায় অভিযোগ করেন রাজ্যের কৃষকদের সঙ্গে বঞ্চনা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়নি। এবার তারই পাল্টা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি অভিযোগ করেন। কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানার কৃষকদের থেকেযে পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য কেনে বাংলার কৃষকদের থেকে সেই পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য কেনে না। এব্যাপারে তিনি জানান, রাজ্য সরকার এবছরে রাজ্যের কৃষকদের থেকে ৪৯ লক্ষ টন ধান কিনেছে। রাজ্যে ধান দিন চেক নিন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন রাজ্যে কৃষি জমির কোনও খাজনা নেওয়া হয় না। কৃষকদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার পাশাপাশি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলি কৃষকদের যাতে আরও বেশি করে ঋণ দেয় সেকথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান জুন মাস থেকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে সরকারি সাহায্যের পরিমাণ ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ছয় হাজার টাকা করা হচ্ছে। এই সুবিধা যাঁদের জমি এক একর তাঁদের জন্য। অন্যদিকে যাঁদের এক কাঠার বেশি জমি রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে সাহায্যের পরিমাণ ২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করা হচ্ছে। এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের পিএম কিষাণ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। সেখানে ২ একর জমির মালিকরা বছরে ৬ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকেন। কিন্তু এক কাঠা, দু কাঠার জমির মালিকরা কোনও সাহায্য পান না। ভাগচাষীরাও কোনও সাহায্য পান না।

https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/videos/246868173545482