আইপিএস ইস্যুতে এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আদতে রাজনৈতিক সমীকরণের বিচারে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মনে করা হচ্ছে এবার শীর্ষ আদালতেই এই দ্বন্দ্বের মীমাংসা হতে চলেছ। একই সঙ্গে এই মামলার রায় আগামীদিনে দেশের প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত আইএএস ও আইপিএস আধিকারিকদের ওপর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই নির্ধারন করে দেব বলে অনেকেই মনে করছেন। মামলায় মূলত রাজ্যের তরফে শীর্ষ আদালতকে জানানো হবে কেন্দ্র সরকার শুধু রাজ্যের অধিকারেই হস্তক্ষেপ করছে তাই না, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠানো না মেনে রাজ্যের অধীনে থাকা আমলা ও পুলিশ প্রশাসনকে পর্যন্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনার অভিযোগ তুলে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের তিন আধিকারিক রাজীব মিশ্রকে, প্রবীণ ত্রিপাঠী ও ভোলানাথ পাণ্ডেকে কেন্দ্রে ফেরত চলে আসতে বলা হয়েছিল। তাঁদের কেন্দ্রের ডেপুটেশনে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের এনওসি বা নো অবজেকশান সার্টিফিকেট দিতে রাজি হয়নি রাজ্য সরকার। কিন্তু তারপরেও কেন্দ্র চিঠি পাঠিয়ে ওই ৩জনকেই কেন্দ্রে পাঠাবার কথা জানায়। শুধু তাই নয় ওই ৩জনকে কোথায় কোন পদে যোগদান করানো হবে সেই বিষয়েও জানিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, রাজীব মিশ্রকে পাঠানো হচ্ছে ইন্দো তিব্বর বর্ডার পুলিশের আধিকারিকের পদে, প্রবীণ ত্রিপাঠীকে সীমা সুরক্ষা বলে ও ভোলানাথ পাণ্ডেকে কাশ্মীর বর্ডার পুলিশ রোড ডিপার্টমেন্টে আজ থেকেই যোগ দিতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার এনওসি দিতে না পারায় ওই ৩ আধিকারিক এদিন দিল্লিতে যেতেই পারেননি। কিন্তু এবার আর রাজ্য সরকারও হাত গুটিয়ে বসে থাকতে চাইছে না। তাই এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।এদিকে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বৈঠক নিয়ে অবশেষে সমস্যার সমাধান হল বলে মনে করা হচ্ছে। কারন কেন্দ্র থেকে জানিয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির কথা মেনে নিয়ে এদিন সন্ধ্যা ৬টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই হবে বৈঠক।