রাজ্যের ১০ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় নিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাত্ পরিবারের প্রত্যেক সদস্য নার্সিংহোমে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রতি বছরে বিনামূল্যে চিকিত্সার সুযোগ পাবেন। কিন্তু বেশ কয়েকটি নার্সিংহোম এর আওতায় থাকা রোগীদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন। তাই স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে জট কাটাতে অবশেষে বেসরকারি হাসপাতালের দাবি কিছুটা মেনে সবরকম চিকিত্সার খরচ বাড়ানোর পথেই এগোল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, স্বাস্থ্যসাথীতে সবরকম সমস্যা কাটাতে এই ক্ষেত্রে চিকিত্সার যে খরচ সেই খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবরকম চিকিত্সার রেট নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তাতে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব-সহ কয়েকজন মন্ত্রীও রয়েছেন। তারা হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে সবটা দেখে তারপর নতুন রেট তৈরি করবেন। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই এই রেট চার্ট করে নেওয়া হবে। এই নতুন রেট তৈরি হয়ে গেলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। তখন সবরকম চিকিত্সাই করা যাবে।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, এখনকার যে নতুন কার্ড, তার জন্যই নতুন রেট করা হবে রাজ্যের পক্ষ থেকে। যাতে কেউ চিকিত্সা করাতে গিয়ে ফিরে না যান। উল্লেখ্য, এই স্বাস্থ্যসাথীতে সব চিকিত্সার খরচ সঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না এই অভিযোগ বিজেপি-সহ সব বিরোধীদের। ইতিমধ্যেই বেসরকারি হাসপাতালগুলি জানিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথীতে চিকিত্সার যে খরচ ধরা হয়েছে, তা মোটেই বাস্তবসম্মত নয়। এই নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনও বরফ না গলায়, এবার কার্যত এই বিশেষ কমিটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত রাজ্যের। বিরোধীদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে সরকার যে মিথ্যে কথা বলছে, তা ধরা পড়ে গিয়েছে। সেই কারণেই এখন চিকিত্সার খরচ বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত। এতে সাধারণ মানুষের আদৌ কোনও লাভ হবে না বলেই দাবি বিরোধীদের।