শিশুদের করোনা সংক্রমণ নিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করল রাজ্য। শিশুদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ সাধারণত মৃদু অথবা একেবারেই উপসর্গহীন হয়ে থাকে। ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের মাত্র ৫.৮ শতাংশ শিশু। হাসপাতালে ভর্তি করোনা আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে আইসিইউয়ের দরকার পড়েছে ৮ থেকে ২০ শতাংশের।
মৃদু সংক্রমণ
উপসর্গ : কফ, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ, ডায়ারিয়া/বমি, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া, সামান্য জ্বর
করণীয়: উপসর্গ দেখা দেওয়ার দিন থেকে ১৭ দিন পর্যন্ত বাড়িতেই আইসোলেশন, শরীরের ডিহাইড্রেশন আটকাতে পর্যাপ্ত জল, প্রোটিনযুক্ত সুষম খাবার ও শাক-সব্জি খেতে হবে, ডায়ারিয়া হলে শুধু ওআরএ, শারীরিক অবস্থার উপর কড়া নজরদারি, প্রয়োজনে ভিটামিন সি, ডি ও জিঙ্ক খাওয়ানো যেতে পারে, বেশি উপসর্গ থাকলে ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে প্যারাসিটামল, নাক বন্ধের জন্য স্যালাইন নেজাল ড্রপ, ডায়ারিয়ার জন্য জিঙ্ক ও প্রো-বায়োটিক
বমি হলে ডমপেরিডন
মাঝারি সংক্রমণ
উপসর্গ : দ্রুত শ্বাস নেওয়া, ডায়ারিয়া/বমি, ডিহাইড্রেশন, খাওয়ায় অনীহা, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের কম
করণীয়: হাসপাতালে অথবা পেডিয়াট্রিক কোভিড ওয়ার্ডে আইসোলেশন, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের নীচে নামলে নাক দিয়ে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা, জ্বরের জন্য ৪ ঘণ্টা অন্তর প্যারাসিটামল। তবে দিনের চারবারের বেশি নয়, নেবুলাইজার দেওয়া যাবে না, শ্বাসকষ্ট হলে বা ক্ষেত্রবিশেষে রেমডিসিভির, ব্যাকটেরিয়াজনিত অন্য সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক
গুরুতর সংক্রমণ
উপসর্গ : নিউমোনিয়া, প্রবল শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, খাওয়া কমে যাওয়া
করণীয়: পেডিয়াট্রিক কোভিড পিকু/এইচডিইউ ওয়ার্ডে ভর্তি, জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল সিরাপ, অক্সিজেন থেরাপি, প্রয়োজনে স্টেরয়েড, শ্বাসকষ্ট হলে রেমডিসিভির (৩.৫ থেকে ৪০ কেজি ওজনের জন্য প্রথম দিনে ৫ মিলি/কেজি এবং তারপর থেকে পাঁচদিন ২.৫ মিলি/কেজি)
অতি গুরুতর সংক্রমণ
উপসর্গ : খিঁচুনি, কোমাচ্ছন্ন হয়ে পড়া, তীব্র শ্বাসকষ্ট (এআরডিএস) হার্ট ফেলিওর, অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি
করণীয়: কোভিড পিকু ওয়ার্ডে ভর্তি, স্টেরয়েড, রেমডিসিভির, রোগীবিশেষে তোসিলিজুমাব
বিপদ কখন
প্রস্রাব অস্বাভাবিক কম হলে, বারবার জ্বর ফিরে আসলে, শিশুর খাওয়া একেবারেই কমে গেলে, চরম ক্লান্ত লাগলে, শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের নীচে নেমে গেলে