কৃষি আইন বিরোধী কৃষক আন্দোলনে ঠিক কতজন কৃষকের প্রাণহানী হয়েছে জানতে চেয়ে একটি জনস্বার্থ আবেদন দায়ের হয়েছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের কাছে এমন কোনও তথ্য নেই যাতে বোঝা যায় ঠিক কতজন কৃষকের প্রাণহানি হয়েছে। জনস্বার্থ আবেদনটি দায়ের করেছিল নাগপুরের জনস্বার্থ সমাজকর্মী মহনীশ জবলপুরে। ন্যাশনাল হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে। এই আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দিল্লি সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। এমনকী, এই আবেদনটি মুখ্যসচিবের কাছেও পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবীতে দীর্ঘ ৩০ দিন ধরে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। আন্দোলন চলাকালীন দিল্লির ঠান্ডায় এবং অসুস্থতার কারণে অন্তত ৩৩ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি সংগঠনগুলির। এছাড়াও পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে আরও বেশ কয়েকজনের। এঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গত রবিবার দেশজুড়ে পালিতে হয়েছে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস।ওইদিন অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভা দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালনের ডাক দেয়। জানা গেছে অন্তত ১ লক্ষ গ্রামে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালিত হয়েছে। এদিন ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই গ্রামগুলিতে মৃত কৃষকদের স্মরণসভা, কৃষি আইন সংক্রান্ত প্রচার, প্রার্থনাসভা এবং মানব বন্ধনের আয়োজন করা হয়। অন্য এক সূত্র থেকে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২০ জন আন্দোলনত কৃষকের মৃত্যু হয়েছে নানা কারণে। কমপক্ষে ১০ জন কৃষক হার্টঅ্যাটাকে মারা গিয়েছেন, এবং প্রচণ্ড ঠান্ডায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে অজয় মোরে নামক ৩২ বছরের কৃষকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। আন্দোলনে সামিল হয়ে দুই মহিলারও মৃত্যু হয়েছে হার্টঅ্যাটাকের কারণে। এইভাবে একের পর এক কৃষক মৃত্যুর পরও মোদি সরকারের কোনও উদ্বেগ দেখা যায়নি। কৃষকরা প্রথম থেকেই নিজেদের দাবিতে অনড় থেকেছে।