জনগণের টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছে কেন্দ্র, পিএম কেয়ার্সের সিএজি অডিট দাবি
কলকাতাঃ নিজেরা বানাতে পারেননি, রাজ্যের থেকে নেতা ধার নিচ্ছে বিজেপি। নাম না করে দলত্যাগীদের উদ্দেশে এমনটাই বললেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ওই মন্তব্য করেন।কাকলি বলেন, ‘‘যাঁদের রাজনৈতিক চেতনার অধঃপতন হয়েছে তাঁরাই বিজেপি-তে যাচ্ছেন। তাঁরা ভাবছেন, বিজেপি-তে গেলে হয়তো জিতে যাবেন। কিন্তু ভুল ভাবছেন। বিজেপি-র মতো ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক দলকে বাংলার মানুষ মেনে নেবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওঁরা আদর্শচ্যুত হয়েছেন। বুঝে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকলে তাঁদের অস্বচ্ছতা প্রকাশিত হবে। সেই কারণে বিধানসভা ভোটে তৃণমূল তাঁদের টিকিট দিত না, তাই বিজেপি-তে গিয়ে নাম লিখিয়েছেন ওঁরা।’’ তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাকলির বলেন, ‘‘যাঁরা মনে করছেন বিজেপি-তে গেলেই জিতে যাব, তাঁদের অভিনন্দন জানাই। যে দল সব কিছু দিল সেই দলের সঙ্গে বেইমানি বাংলার মানুষ ভাল ভাবে নেবে না। আসা-যাওয়ার মধ্যে টেবিলের তলায় কী দেনা-পাওনা হল বাংলার মানুষ সব জানে।’’ এত বছরে পশ্চিমবঙ্গে কোনও নেতা তৈরি করতে পারেনি বলেও গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেন কাকলি। তাঁর মতে, ‘‘এত বছরে ওঁরা বাংলায় নেতা তৈরি করতে পারলেন না। যার কারণে বিপুল টাকা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুশৃঙ্খল দল ভাঙাতে হচ্ছে।’’ রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রের ডেপুটেশনে নেওয়া প্রসঙ্গেও মোদী সরকারের সমালোচনা করেন কাকলি। তিনি জানান, মোদী সরকারের অনৈতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবথে কে বেশি সরব হন বলে তাঁকে ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘ওই অফিসাররা যদি ভুল করে থাকেন, তবে তাঁদের এক জনকে সীমান্তে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন।’’ এদিন সেই পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়েই কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেছেন, “আমরা প্রশ্ন করতে চাই জনগণের অর্থে তৈরি পিএম কেয়ার্স ফান্ডের টাকা কোথায় গেল? আমরা এর সিএজি অডিট চাই। জনগণের টাকা নয়ছয় করছে বিজেপি সরকার”। তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে বসে বিজেপিকে এভাবেই শক্ত ভাষায় আক্রমণ করলেন কাকলি। একইসঙ্গে তিনি বললেন, “বিজেপির একটাই টার্গেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত ৪৫ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের পাশে আছেন। এই দলের কর্মীরা মানুষের পাশে থাকেন। তাই মানুষ দুবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতায় এনেছে। তাই বিজেপি ওঁকে নিয়ে ভীত।” একনজরে দেখে নিন কি কি বললেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার –
🔵এখনও ৮০ হাজার বুথে মমত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাপোর্ট রয়েছে।
🔵 তৃণমূলকে দেখে ভারতীয় জনতা পার্টি ভীত, তাই এমন দিকভ্রান্ত হয়ে কাজ করেছে।
🔵BJP যত আক্রমণ করবে, তৃণমূল তত শক্তিশালী হবে।
🔵মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর বাংলার মানুষের আস্থা রয়েছে।
🔵 জনসাধরমের অর্থে যে পিএম কেয়ার ফান্ড হল, টাকা কোথা থেকে এল এবং কোথায় গেল।
🔵 BJP যক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দিয়েছে।
🔵 সরকারি আধিকারীকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বদলির নির্দেশ দিচ্ছে কেন্দ্র।
🔵 নিজেরা ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আবোল তাবোল বকছেন।
🔵যারা দল ছাড়ছেন তারা সবাই ব্যভিচারী?
🔵কেন্দ্রীয় বাহিনী স্বচ্ছ ভাবে ভোট করায়। আমি নিজের লোকসভা কেন্দ্রে দেখেছি, কি ভাবে বন্দুক দেখিয়ে ভোট করানো হয়েছে।
🔵 নিজেরা রাজ্যে নেতা বানাতে পারেননি। তাই তৃণমূল থেকে ধার নিতে হচ্ছে। অনেকেই রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাথেয় করে অনেক কিছু করে নিয়েছেন। তাঁদের ভয় দেখিয়ে দলে টানা হচ্ছে।
🔵 যত খারাপ লোক দল ছাড়বেন, আমাদের দল পরিচ্ছিন্ন হবে।
🔵রবীন্দ্রভারতীর পোস্টার ইস্যুর অপমান বাঙালি সহ্য করবেন না।
🔵বাংলার ইতিহাস সংস্কৃতি কিচ্ছু জানে না, নষ্ট করছে।
🔵পশ্চিমবঙ্গের লোক ইতিমধ্যেই আওয়াজ তুলছে। আরও হবে।
🔵ভারতের অর্থনীতি তলানিতে এসে ঠেকেছে।
🔵কৃষকের ক্ষতি আমরা সমর্থন করি না।
🔵বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনেন
🔵স্বচ্ছ রাজনীতি করতে হবে। অধর্ম করছে BJP
🔵তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।