সিপিএম-কংগ্রেস-আইএসএফের জোটের ব্রিগেডের জমায়েতে আপ্লুত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী । বক্তব্যের শুরুতেই বললেন, ‘এত বড় সভায় বক্তব্য রাখার সুযোগ জীবনে এই প্রথম।’ শাসকদলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, ‘একুশে পরিবর্তন হবেই।’রবিবার বেলা বাড়তেই ব্রিগেডে বেড়েছে ভিড়। সব রাস্তা যেন মিশেছে ব্রিগেড ময়দানে। রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে প্রত্যেক নেতা দাবি করেছেন, ‘তরুণ প্রজন্মের স্বার্থে, প্রতিটি মানুষের ভবিষ্যতের জন্যে এই জোট ক্ষমতায় আসা অত্যন্ত প্রয়োজন। এদিনের জমায়েতে আপ্লুত অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এত বড় সভায় বক্তব্য রাখার সুযোগ জীবনে প্রথম। এই সভা প্রমাণ করছে আগামীতে তৃণমূল-বিজেপিকে ছাপিয়ে যাবে সংযুক্ত মোর্চা। আগামী দিনে তৃণমূল-বিজেপি থাকবে না, সংযুক্ত মোর্চা থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘এত বড় সভায় বক্তৃতার সুযোগ আমার জীবনে এই প্রথম। যারা বোঝাতে চাইছিল,আগামী নির্বাচন হয়ে উঠবে শুধু বিজেপি আর তৃণমূলের লড়াই, এই সমাবেশ তাদের মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছে। আগামী দিনে তৃণমূল, বিজেপি থাকবে না, সংযুক্ত মোর্চা থাকবে’। পেট্রল, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গেও এদিন কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারকেই বিঁধতে চান অধীর। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী আর বিরাট কোহলির মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে- কে আগে সেঞ্চুরি করবেন। মোদী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন ব্যারেল প্রতি কাঁচা তেলের দাম ছিল ১০৮ ডলার। পেট্রলের দাম ছিল ৭১ টাকা। কাঁচা তেলের দাম কমে এখন ব্যারেল প্রতি ৬৫ ডলার হয়েছে। আর পেট্রলের দাম পৌঁছে গেছে ১০০ টাকায়। ভাষণের মাঝে মঞ্চে আব্বাসকে নিয়ে উন্মাদনার জেরে একবার কথা থামাতে বাধ্য হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এপরই নিজের ভাষণে ইতি টানার কথা বলেন অধীর। সঙ্গে সঙ্গে এসে অবস্থার সামাল দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। বারে বারে সংযুক্ত মোর্চার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত একবারও অধীর চৌধুরীর মুখে আব্বাস বা তাঁর দলের নাম উচ্চারিত হয়নি। সেই একবারই যেন তাল কাটল ব্রিগেড সমাবেশের। মঞ্চে ছিলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে সীতারাম ইয়েচুরি, সেকুলার ফ্রন্টের প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি-সহ অন্যান্য তাবড় তাবড় নেতারা। এদিনের জমায়েত নতুন আশার আলো দেখিয়েছেন প্রত্যেকে।