দিল্লির ক্ষমতা আরও বেশি করে কেন্দ্রীয় সরকারে থাকার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল৷ সোমবার এই বিল পাস হয়ে গেল লোকসভায়৷ এই বিল আইনে রূপান্তরিত হলে দিল্লিতে আরও বেশি ক্ষমতা পাবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর৷ কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এই বিল দিল্লিতে নির্বাচিত সরকার ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দায়িত্ব স্পষ্ট ভাবে ভাগ করে দেবে৷ কেজরিওয়ালের দবি, ‘জনগণ ভোটে নির্বাচিত করেছেন, তাঁদের হাত থেকে ক্ষমতা কার্যত কেড়ে নিচ্ছে ওই বিল। বরং যাদের মানুষ নির্বাচনে হারিয়েছে, তাদের হাতেই ফের ক্ষমতা যাচ্ছে। লোকসভায় জিএনসিটিডি সংশোধনী বিল পাশ হওয়াটা দিল্লির মানুষের কাছে অপমানের।’ যদিও কেন্দ্রের সাফ যুক্তি, এই বিলের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই, দিল্লির মানুষের কথা ভেবেই এই বিল আনা হয়েছে। তবে কেজরিওয়াল কেন্দ্রের যুক্তি মানতে নারাজ। রাজ্যসভায় সকল অ-বিজেপি দলকে এই বিলটির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান কেজরিওয়াল। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, এর মাধ্যমে কেন্দ্রের মোদী সরকার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লির উপর আরও বেশি করে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে৷ আর এই কাজ তারা সেখানকার লেফটেন্যান্ট গর্ভনরের মাধ্যমেই করতে চাইছে বলে বিরোধীদের দাবি৷ গত সোমবার এই বিল লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল৷ তখনই এই নিয়ে সরব হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ তাঁকে সমর্থন জানান আরও অনেক বিজেপি বিরোধী নেতা৷ এমনকী, বঙ্গের নির্বাচনী প্রচারের সভা থেকেও এই নিয়ে সরব কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি দাবি করেন, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ক্ষমতা বাড়াতে বিল আনার পদক্ষেপ ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সামিল৷ এই নিয়ে অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দলগুলিকে একজোট হওয়ারও ডাক দিয়েছেন মমতা৷ এই নিয়ে কেজরিওয়ালকে চিঠিও লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ দ্য গভর্মেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি (সংশোধনী) বিল এখনই রাজ্য়সভায় না আনার অনুরোধ করলেন ডেরেক ও’ ব্রায়েন৷ এই বিষয় নিয়ে রাজ্যসভার অধ্যক্ষ বেঙ্কাইয়া নাইডুকে একটি চিঠি দেন।