ঝাড়খণ্ডের ত্রিকূট পাহাড়ের রোপওয়ে দুর্ঘটনায় এখনও আটকে ২০ জন। ২৪ ঘণ্টা কেটে গেছে, বায়ুসেনা এখনও পর্যন্ত ২৭ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছে। মৃত্যু হয়েছে মোট তিন জনের। গতকাল (১০ এপ্রিল) ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে রোপওয়েতে দুটি কেবল কারের ধাক্কা লাগে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে একযোগে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। মাটি থেকে প্রায় ৮০০ মিটার উঁচুতে এই রোপওয়ে, তাই উদ্ধারকাজ বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। টানা ২৪ ঘণ্টা ধরে দুটি কেবল কারে আটকে ছিলেন পর্যটকরা। ছিল না খাবার এমনকী জলও। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সহকারী কম্যান্ডার বিনয় কুমার ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আটকে পড়াদের জল এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। কী করে ঘটল এই দুর্ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া না গেলেও টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণেই বিপত্তি বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা। এক বেসরকারি সংস্থা এই রোপওয় চালানোর দায়িত্বে। দুর্ঘটনা ঘটতেই পালিয়েছে রোপওয়ের ম্যানেজার এবং কর্মীরা। দেওঘরের ডেপুটি কমিশনার মঞ্জুনাথ ভজন্ত্রি জানিয়েছিলেন, দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে যায় এনডিআরএফ। ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশও উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে বলে খবর।