কলকাতায় পানীয় জলে দূষণের আতঙ্ক। পানীয় জল খেয়ে মৃত বেড়ে ৩। মৃতদের মধ্যে ১ শিশুও রয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ভবানীপুর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এমনকি ডায়েরিয়ায় মৃত্যুও হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের দাবি, সম্প্রতি মাদককাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী, আলিপুর মহিলা জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার এক বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু হয়। জেলের আরও ৫ জন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আতঙ্ক কাটাতে ওই ওয়ার্ডে বাড়ি-বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দিচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ। কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, জলের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে জানা যাবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। সোমবার কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৫ নম্বর শশীশেখর বসু রোডের শ্রমিক আবাসনে ৫৫ বছরের ভুবনেশ্বর দাস নামে এক প্রবীণের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। মঙ্গলবার আরও দুজনের মৃত্যুর খবর মিলল। দুজনের মধ্যে একজন আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের এক বিচারাধীন বন্দি। নাম রিঙ্কি তামাং। অন্যদিকে শিবরাত্রির পরের দিন থেকে বমি করছিল সাড়ে চার বছরের আরুশি কুমারী। সঙ্গে পেট খারাপও ছিল তার। এরপর রাত ২টো নাগাদ আরুশিকে চিত্তরঞ্জন শিশু সদনে ভরতি করা হয়। সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তার মৃত্যু হয়। এদিকে ওই জল পান করে আরও ৫-৬জন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয়দের অভিযোগ, পানীয় জলের পাইপ ফেটে যাওয়ায় তাঁর সঙ্গে নিকাশি নালার জল মিশে গিয়ে দূষণ ঘটেছে। আর সেই জল খেয়ে এলাকার একাধিক লোক অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ১ জনের মৃত্যুও হয়। এদিকে স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকার জানান, ‘পানীয় জলের লাইনের সঙ্গে নিকাশি নালার সংযোগ ঘটে যাওয়ায় জলে বিষক্রিয়া হয়েছে। তবে রবিবার রাতেই সেই পাইপ মেরামত করে দেওয়া হয়েছে।’