৪৪ বছর পর দিন পরে দলিতদের গণহত্যার দায়ে তিন জনের মৃত্যুদণ্ড দিল উত্তরপ্রদেশের আদালত। ১৯৮১ সালে হত্যা করা হয়েছিল ২৪ জন দলিতকে। এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে উত্তর প্রদেশের মৈনপুরী জেলার একটি বিশেষ আদালত । যাদের এই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের বয়স এখন প্রায় ৬০ বছর। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের দেহুলি গ্রামে ওই গণহত্যা হয়েছিল। ১৯৮১ সালের ১৮ নভেম্বর ১৭ জনের ডাকাতদের একটি দল পুলিশের ছদ্মবেশে ওই গ্রামে হামলা চালায়। সেখানে হত্যা করা হয় মহিলা এবং শিশু–সহ ২৪ জন দলিতকে। এই ঘটনায়, মঙ্গলবার শাস্তির কথা ঘোষণা করেছে মৈনপুরীর আদালত। ওই ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে উল্লেখ করে আদালত। ওই আদালতের বিশেষ বিচারক ইন্দিরা সিং গত ১২ মার্চ কাপ্তান সিং, রামপাল এবং রাম সেবককে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। মঙ্গলবার তাঁদের শাস্তি ঘোষণা করেন তিনি। একই সঙ্গে আদালত দোষীদের ১ লক্ষ টাকা জরিমানাও করে। যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, রায় শুনেই তারা আদালতের ভেতরে ভেঙে পড়েন। নিজেদের নির্দোষ বলেও দাবি করেন তারা। মৈনপুরীর আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানা গিয়েছে। আদালত যে রায় দিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে নিহতদের পরিবার। তবে তাঁদের দাবি, এই রায় আগেই দেওয়া উচিত ছিল। ওই হামলায় নিহতের একজনের আত্মীয় সঞ্জয় চৌধুরী জানিয়েছেন, দেহুলি গ্রামে হামলা চালিয়েছিল রাধে এবং সন্তোষের নেতৃত্বে ১৭ জন ডাকাত দল। তারা সন্দেহ করেছিল যে দেহুলি গ্রামের বাসিন্দারা পুলিশের চর হিসেবে কাজ করছে। এই কারণে পুলিশের ছদ্মবেশে গ্রামে হামলা চালায় তারা। একটি দলিত পরিবারকে সন্দেহ করে তারা । ওই পরিবারের লোকদের উপর হামলা হতেই এগিয়ে আসেন অন্যান্য গ্রামবাসীরা । তখন ওই দলের সদস্যরা দলিত পরিবারের ২৪ জনকে গুলি করে হত্যা করে। মৃতদের মধ্যে সাতজন মহিলা এবং দু’জন শিশুও ছিল। এই ঘটনায় অনেকেই আহত হন এবং ওই দলের সদস্যরা কয়েকটি বাড়ি থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে।
