অবশেষে স্বস্তি গোসাবায়। দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টার চেষ্টার পর খাঁচাবন্দী ‘বাঘমামা’। উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে ম্যানগ্রোভ জঙ্গল ছেড়ে বিদ্যাধরী নদীতে সাঁতার কেটে গোসাবার বালি মথুরাখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল পূর্ণবয়স্ক বাঘটি । এলাকার বাসিন্দা হাবুল দাসের বাড়ির গোয়াল ঘরে ঢুকে তিনটি ছাগল এবং একটি গরুকেও খতম করে বাঘটি । এর পর এলাকাবাসীর চিৎকার-চেঁচামেচিতে লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে আশ্রয় নেয় সে । সেই আতঙ্কে ঘুম উড়েছিল এলাকাবাসীর । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের আসে পুলিশ, বনদফতরের কর্মীরা । শুরু হয় মাইকিং, নেট জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় সমস্ত জঙ্গল ৷ সন্ধে হতেই গোটা গ্রাম হ্যালোজেনের আলোয় মুড়ে ফেলা হয় ।দু’প্রান্তে পাতা হয়েছিল দুটি খাঁচা । দেওয়া হয় ছাগলের টোপও । আর সেই টোপেই বাঘবন্দী । রাতের দিকে ছাগলের লোভে খাঁচায় ঢোকে বাঘটি । সে আপাতত সুস্থই আছে বলে খবর । তবুও সজনেখালিতে নিয়ে গিয়ে একপ্রস্থ চিকিৎসা করা হবে তার । বন দফতরের আশা, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজই তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে । আজ ভোর ৪টে ৫০ মিনিট নাগাদ গোসাবার মথুরাখণ্ড গ্রাম লাগোয়া ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে তাঁকে খাঁচাবন্দী করতে সক্ষম হন বন দপ্তরের কর্মীরা। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই তাকে সুন্দরবনের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বন দপ্তর। জানা গিয়েছে, বাঘটি পূর্ণ বয়স্ক। ১০-১১ বছরের মত বয়স।
কেন এত ঘন ঘন জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বাঘগুলি? তাহলে কি বসবাসের পরিবেশ হারাচ্ছে তারা, নাকি দেখা দিয়েছে খাদ্যের অভাব? নাকি আরও বেড়ে গিয়েছে চোরা শিকারীদের উৎপাত? প্রশ্ন অভিজ্ঞ মহলের।