আজ সকাল থেকেই কালীঘাটের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে, নিজের বাসভবনে প্রার্থীতালিকা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় , ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিবহণ মন্ত্রী তথা কলকাতার বর্তমান পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। গত বৃহস্পতিবার আগরতলায় পুরভোটে একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসক দল বিজেপির দিকে। তার পাল্টা বিজেপি নেতৃত্ব বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের হিংসার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। তেমন পরিস্থিতি যাতে না হয় সেই বার্তা শুক্রবার দলকে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। বৈঠকে মমতা জানিয়েছেন, নির্বাচনে কোনও গন্ডগোল বরদাস্ত করা হবে না। মানুষের ভোটে আস্থা রাখতে হবে। নির্দেশ অমান্য হলে পুলিস ব্যবস্থা নেবে বলে দলকে সতর্কও করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সন্ধেবেলা সাংবাদিক বৈঠক করে দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১৪৪ টি ওয়ার্ডে ৮৭ জনই পুরনো প্রার্থী। নতুন মুখ ৪২ জন। বাদ পড়েছেন ৩৯। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ পুরুষ প্রার্থী, বাকি ৪৫% মহিলা। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, সব বর্গের মানুষকে টিকিট দেওয়া হয়েছে৷ দু’জন খ্রিস্টানও টিকিট পাচ্ছেন ৷ প্রার্থী তালিকায় ৮০ জন পুরুষ ও ৬৪ জন মহিলা ৷ ১৯ জন প্রার্থী তফসিলি জাতি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। আসানসোলের দু’বারের সাংসদ বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা বাবুল সুপ্রিয়র নাম নিয়ে জল্পনা থাকলেও তাঁকে পুরভোটের (KMC Election) টিকিট দেওয়া হয়নি। বাদ পড়েছেন শান্তনু সেনও। এনিয়ে তাঁর এতটুকুও আক্ষেপ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর এক ব্যক্তি, এক পদ নীতিতে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তাই কলকাতা পৌরনিগমের ভোটে বিধায়ক-সাংসদরা টিকিট পাবেন না বলে জল্পনা হয়েছিল ৷ সেই তালিকায় কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নামও ছিল ৷ যদিও সব জল্পনার অবসান করে এদিন তৃণমূলের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ফিরহাদ হাকিম, অতীন ঘোষ, দেবব্রত মজুমদার ও দেবাশিস কুমারের মতো বিধায়কদের এবারও টিকিট দেওয়া হচ্ছে ৷ এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতার পরবর্তী মেয়র কে হবেন, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় পার্থ-সুদীপদের ৷ উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর মেয়র মুখ ঠিক হবে ৷ পৌর প্রতিনিধিরা ঠিক করবেন কাকে মেয়র করা হবে ৷