জেলা

নিজেদের করা ষড়যন্ত্রই বুমেরাং হয়ে গেল বিজেপির কাছে! বসিরহাট কেন্দ্রে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী হাজি শেখ নুরুল ইসলাম

বসিরহাট তৃণমূলেরই! সন্দেশখালিও। নিজেদের করা ষড়যন্ত্রই বুমেরাং হয়ে গেল বিজেপির কাছে। যে সন্দেশখালির মানুষকে গোটা দেশের সামনে অপমানিত করতে নোংরা, ঘৃণ্য চক্রান্ত করেছিল বিজেপি, সেই সন্দেশখালিতেও মানুষের রায়ে জিতল তৃণমূল কংগ্রেস। বসিরহাটে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ৩ লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জিতলেন বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি শেখ নুরুল ইসলাম। গোটা বাংলার পাশাপাশি সন্দেশখালিতেও তৃণমূলের জয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যে সন্দেশখালি নিয়ে এত কুৎসা-অপপ্রচার করেছে বিজেপি, মা-বোনেদের অসম্মান করেছে, সেই সন্দেশখালিতেও আমরা জিতেছি। সন্দেশখালির মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে, সন্দেশখালির মা-বোনেদের আমি স্যালুট জানাই। এমনকী সন্দেশখালির যে বুথে সন্ত্রাস ছড়ানো হয়েছিল, সেখানকার মা-বোনেরাও জবাব দিয়েছেন। নির্বাচনে মানুষই শেষ কথা বলে। গোটা রাজ্য জুড়েই বিজেপির সমস্ত চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিল রাজ্যের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। বাংলার মানুষের প্রতি কেন্দ্রের লাঞ্ছনা-বঞ্চনার জবাব দিয়েছে বাংলার মানুষ। বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে লক্ষাধিক ভোটে গোহারা হারালেন হাজি শেখ নুরুল ইসলাম। শুধু তাই নয়, যে সন্দেশখালির মহিলাদের দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণের সাজানো অভিযোগ করিয়ে যে অপপ্রচারের পরিকল্পিত চিত্রনাট্য তৈরি করেছিল বিজেপি, সেই সন্দেশখালি বিধানসভা এলাকাতেও বিজেপি প্রার্থীকে বলে বলে গোল দিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী। এই সন্দেশখালিকে ইস্যু করেই ভোট বৈতরণী পার করতে চেয়েছিল বিজেপি। গদ্দার অধিকারী ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অঙ্গুলিহেলনে সেখানে মাত্র ২ হাজার টাকার বিনিময়ে মহিলাদের সম্মান খোলাবাজারে বিক্রি করা হয়েছিল। এমনকী ভোটের দিনও সন্দেশখালির ১৭৭ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্তি ছড়িয়েছিল বিজেপি। বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে। সেই বুথ এলাকাতেও মানুষ বিজেপির সন্ত্রাস থেকে বাঁচতে আশ্রয় হিসেবে তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছে। সন্দেশখালির মানুষ যে সেই চক্রান্তকে মোটেই ভাল চোখে দেখেনি, সেটা ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট। সন্দেশখালি তথা বসিরহাটের সাধারণ মানুষ প্রমাণ করে দিল, সন্দেশখালি আসলেই বিজেপির একটা সাজানো পরিকল্পিত চিত্রনাট্য। মাত্র কয়েকটা ভোটের জন্যই এই চক্রান্ত করেছিল বিজেপি।