কলকাতা

‘পরাক্রম’ মানে বুঝিনা, আজ দেশ নায়ক দিবস, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নেতাজিকে দেশনায়ক বলেছিলেন: মমতা

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সকালে এলগিন রোডে নেতাজির বাসভবনে যান মমতা। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি পরাক্রম মানে বুঝিনা। বাংলা না হিন্দি ভাষা তা জানিনা। তবে আমার কাছে উনি দেশপ্রেমিক। দেশনায়ক। যিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। আমরা চাই দেশ যেন এগিয়ে যাই। নেতাজী এক চিন্তা, আদর্শ, দর্শন। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নেতাজিকে দেশনায়ক বলেছিলেন, তাই আমরাও এই দিনটি দেশনায়ক দিবস নামেই পালন করব। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কেন আমরা দেশনায়ক দিবস করেছি জানেন? কারণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম নেতাজিকে দেশনায়ক আখ্যা দিয়েছিলেন। আর রবীন্দ্রনাথের লেখা জনগণমন অধিনায়ক কে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন নেতাজি। আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে, আমি কাঁপছি, আমি বলছি।’ এদিনও ঠারেঠোরে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ আমাদের মুখস্থ। পড়ে এসে বলতে হয় না। নেতাজি প্ল্যানিং কমিশন তৈরি করেছিলেন। নেতাজিকে যদি শ্রদ্ধাই জানাবে তাহলে প্ল্যানিং কমিশন তুলে দেওয়া হল কেন?’

শনিবার সকালে নেতাজিকে নিয়ে ৩টি টুইট করেন মমতা। প্রথমটিতে লেখেন, ‘দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই। উনি ছিলেন প্রকৃত নেতা। মানুষের ঐক্যে বিশ্বাসী ছিলেন। আমরা আজকের দিনটা ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসাবে পালন করছি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে’। মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় টুইট বলছে, ‘রাজারহাটে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে। নামকরণ হবে ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’-এর নামে। এ ছাড়া নেতাজির নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো খরচ রাজ্য সরকার বহন করবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিদেশের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ থাকবে’। তৃতীয় টুইটে শনিবারের কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন মমতা। ‘এক বৃহত্‍ পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে আজ। চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডও নেতাজির নামেই উত্‍সর্গ করা হবে। শনিবার সওয়া ১২-য় সাইরেন বাজানো হবে। প্রত্যেককে আর্জি জানাচ্ছি, বাড়িতে শঙ্খ বাজাবেন’। সেই সঙ্গে মমতা আরও একবার ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। টুইটে লেখেন, ‘২৩ জানুয়ারির দিনটিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করুক কেন্দ্র’। এর পর তিনি হ্যাশট্যাগ করে লেখেন ‘দেশনায়ক দিবস।’