আজ জাপানে শুরু হয়েছে কোয়াড গোষ্ঠীর সম্মেলন ৷ মঙ্গলবার সকালে এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ জাপানের টোকিওতে দ্বিতীয় সরাসরি সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানেজ ৷ অতিমারি চ্যালেঞ্জের মধ্যেও কোয়াড গোষ্ঠীর কাজের সুযোগ বেড়েছে, জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ তিনি বলেন, “পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সদস্য দেশ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের দৃঢ় সংকল্প গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিকে নতুন উৎসাহ জুগিয়েছে ৷” কোয়াড গোষ্ঠীর সম্মেলনে নিজের বক্তৃতার প্রথমেই মোদি উল্লেখ করেন, খুব কম সময়ের মধ্যে কোয়াড গোষ্ঠী বিশ্বে একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা তৈরি করে নিয়েছে ৷ এখন কোয়াডের কাজের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত হয়েছে, কার্যকর হয়েছে ৷ তিনি বলেন, “কোয়াড লেভেলে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা, মুক্ত, স্বাধীন এবং সমস্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটা উদ্দীপনা জেগে উঠেছে ৷ আমরা সকলে এর অংশীদার ৷” কোভিড-এর সমস্যাপূর্ণ পরিস্থিতিতেও সদস্য দেশগুলি নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বজায় রেখেছে ৷ ভ্যাকসিন পাঠানো, প্রকৃতি বিষয়ে সিদ্ধান্ত, সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখা, বিপর্যয় মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ মোদি বলেন, “এতে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিরতা নিশ্চিত হয়েছে ৷” তিনি অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানেজকে শুভেচ্ছা জানান ৷ অন্যদিকে জাপানে প্রবাসী ভারতীয়দের সভায় স্বামী বিবেকানন্দকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার জাপানের এই সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই স্বামীজির প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। বলেন, শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে যাওয়ার পথে স্বামীজি এসেছিলেন জাপানে। জাপানের মানুষ, পরিবেশ এক অনবদ্য প্রভাব ফেলেছিল স্বামীজির উপর। জাপানের মানুষের দেশাত্ববোধ ও আত্মবিশ্বাস তাঁকে মুগ্ধ করেছিল। যে ভাবে পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে জাপানের মানুষ এক আদর্শ ধারণা তৈরি করেছিলেন, তা প্রভাবিত করেছিল তাঁকে। তিনি প্রকাশ্যে জাপানের স্তুতি করেছিলেন।