কলকাতা

তৃণমূলের সংসদীয় কমিটি গঠন

ভোট মিটতেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শনিবার বিকেলে কালীঘাটে এই বৈঠকে যোগ দেন হবু সাংসদরা। আন্দোলনের জোড় বাড়বে, এমনতাই এদিন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে লোকসভার নেতা হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, উপ-দলনেতা হলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। চিফ হুইপ হলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অন্যদিকে রাজ্যসভার নেতা হিসাবে থাকছেন ডেরেক ও ব্রায়েন। উপ-দলনেতা হিসাবে থাকছেন সাগরিকা ঘোষ, চিফ হুইপ হচ্ছেন নাদিমুল হক। চেয়ারপার্সন হিসাবে থাকছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন তিনি বৈঠক থেকেই জানান ডেরেক, নাদিম, দোলা ও আরও কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গে দেখা করবেন। দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হবে। শেয়ার বাজার নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”আমাদের ৩-৪টে সিটে জোর করে হারানো হয়েছে। এই জয়ের উৎসব পালন করা হবে ২১ শে জানুয়ারি। মনে হচ্ছে যেন একটা লুঠের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ২০১৯সালে লোকসভা ভোটে আমরা বিধানসভায় এগিয়ে ছিলাম ১৬১ আসনে। আর গতবারে বিজেপি ছিল ১২১টি। ২০২৪ এর ভোটে বিজেপি এগিয়ে আছে মাত্র ৯০টাতে। সাট্টাবাজার, শেয়ার বাজারে বড় স্ক্যাম হয়েছে। আমরা এমপিদের পরিস্কার বলেছি আমরা বসে থাকার জন্য় যাচ্ছি না। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখব। মোদীকে কেউ চায় না। এত বড় হারের পরে মোদী বাবুর উচিত ছিল এটা ছেড়ে দেওয়া।” এদিন সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রবিবার প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কি তৃণমূল কংগ্রেস হাজির থাকবে কিনা? মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্রের কেউ আমন্ত্রণ জানায়নি। কেউ যাবে না। সেই সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, আমি কাল দেশের মানুষকে শুভকামনা জানাব। দেশের মানুষ এঁদের ভোট দেয়নি বলে। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, কেউ ভাববেন না। ইন্ডিয়া আজ সরকার গঠন করেনি বলে কাল করবে না। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। মোদীকে কেউ চান না। এতবড় হারের পর মোদীর উচিত ছিল অন্য কাউকে ছেড়ে দেওয়া।