সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল। শনিবার ভগবানপুর পঞ্চায়েত প্রধান পদে বসলেন উমারানি ভুঁইয়া এবং উপ-প্রধান পদে বসলেন শেখ আনোয়ার আলি। এতদিন এই পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির ছিলেন এবং উপ-প্রধান ছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি। কিন্তু কয়েকদিন আগেই অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয় পঞ্চায়েত প্রধানের। তারপর আবার এক বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেয়। সেই কারণেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে পঞ্চায়েত দখল করে বোর্ড গঠন করল তৃণমূল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়েই বিজেপির পঞ্চায়েত ভেঙে পড়ল এবং তৃণমূল কংগ্রেসে সদস্যরা যোগ দেওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেল ঘাসফুল শিবির। যেখানে লোকসভা নির্বাচনে দুটি আসন কাঁথি এবং তমলুক বিজেপির দখলে রয়েছে। সেখানে এবার বিজেপির জেতা পঞ্চায়েত ভেঙে চলে গেল তৃণমূল কংগ্রেসে। যা একপ্রকার সেটব্যাক। এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে বিজেপির কাছ থেকে হাতছাড়া হতে চলেছে ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের মুগবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। এটা জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু সেখানে সোমবার দিনই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন দুই পঞ্চায়েত সদস্য। সুতরাং সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল জোড়াফুল শিবির। এবার মুগবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতবদল শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই পঞ্চায়েতের ২১টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ১১টি আসন। আর তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ১০টি আসন। এবার বিজেপির থেকে দুই সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় ১২টি আসন হয়ে গেল শাসকদলের। সেখানে বিজেপির কমে ৯। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন মুগবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই সদস্য জয়দেব বেরা এবং কাকলি বেরা। তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে তাঁরা জোড়াফুল পতাকা হাতে তুলে নেন। এই দুই সদস্য এতদিন ভগবানপুর ২ ব্লকের মুগবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি হয়ে ছিলেন। কিন্তু এবার তাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলে সহজে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল জোড়াফুল শিবির। তার জেরে পঞ্চায়েত হাতছাড়া হতে চলেছে বিজেপির বলে জানা যাচ্ছে। তবে দুই পঞ্চায়েত সদস্যের পাশাপাশি বিজেপির স্থানীয় বহু নেতা–কর্মী সদলবদলে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
