অভিষেকের নির্দেশে বাঁকুড়া জেলার চার অঞ্চল সভাপতিকে বদল করা হল। নব জোয়ার কর্মসূচিতে বাঁকুড়ায় থাকাকালীন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে এই চার অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন ব্লক সভাপতিরা। এই মুহূর্তে অভিষেক বাঁকুড়া ছেড়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে নব জোয়ার কর্মসূচি নিয়ে সফর করলেও তাঁরই নির্দেশে বাঁকুড়া জেলার এই চার অঞ্চল সভাপতিকে দলের পদ থেকে সরানো হল। সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলায় অঞ্চল সভাপতি এবং ব্লক সভাপতিদের মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দ্বের ছবি ধরা পড়েছিল। সূত্রের খবর ব্লক সভাপতিদের দেওয়া কর্মসূচি ঠিক মতো পালন করছিলেন না অঞ্চল সভাপতিরা। আবার কখনও দেখা গিয়েছে অঞ্চল সভাপতিদের তরফ থেকে ব্লক সভাপতির নির্দেশ মানতে অস্বীকার করা হয়েছে। সম্প্রতি কমলপুরে দলীয় বৈঠকে অভিষেকের সামনে ব্লক সভাপতিরা কিছু অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন ৷ এরপর তাঁর নির্দেশেই বাঁকুড়া জেলার চার অঞ্চল সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হল। পাশাপাশি দলের তরফ থেকে বিশেষ বার্তাও দেওয়া হয়েছে । বলা হয়েছে দলীয় নির্দেশ নামানলে যে কোনও স্তরের নেতা বিরুদ্ধে একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে তৃণমূল। এমনিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে । এই ধরনের কার্যত দৈনন্দিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় অভিষেকের কড়া পদক্ষেপের ফলে এই প্রবণতায় কোনও পরিবর্তন আসে কি না সেটাই দেখার। অন্যদিকে এই পরিবর্তন আগামিদিনের সাংগঠনিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও কিছুটা দুর্বল করবে সেটাও রাজনৈতিক মহলের কাছে একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে উঠে এসেছে।সম্প্রতি কখনও জেলা কখনও ব্লক কখনও অঞ্চল স্তরের তৃণমূল নেতাদের দ্বন্দ্বের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে । এই ঘটনায় বারবার দলের রাজ্য নেতৃত্বকে অস্বস্তির মুখেও পড়তে হয়েছে। তৃণমূলকে নিশানা করার নয়া অস্ত্রও পেয়েছে বিরোধীরা। এমতাবস্থায় এদিন এই আঞ্চলিক নেতাদের সরিয়ে দিয়ে ঘাসফুল শিবির বাকিদের বার্তা দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। “