ত্রিপুরার রাজধানী আগরত্তলার মহারাজা বীর বিক্রম কলেজে টিএমসিপি নেত্রী সোলাঙ্কি মণ্ডল সহ একাধিক কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল দুপুরে। খবর পেয়েই কলকাতা থেকে আগরতলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। রাতে আগরতলায় পৌঁছেই কার্যত দাপুটে মেজাজে দেখা গেল দুই নেতাকে। এদিন সোলাঙ্কি সহ একাধিক কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে পূর্ব আগরতলা থানা ঘেরাও করে তৃণমূল। এদিন ত্রিপুরা পৌঁছেই পূর্ব আগরতলা থানা ও মহিলা থানায় যান কুণাল ঘোষরা। সেখানে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ চলে বাকবিতণ্ডা। তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের দলের নেতাদের উপর হামলা করা হলেও এফআইআর নিতে রাজি হচ্ছিল
না পুলিশ। ফলে রাতভর ধরনার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা। তবে বেশ কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটির পর পুলিশ অভিযোগ নিতে রাজি হলে শান্ত হয় পরিস্থিতি। সূ্ত্রের খবর, এদিনের হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে, আগামিকাল আরেকটি হওয়ার কথা। তৃণমূল মারফত জানা গিয়েছে, আক্রান্ত হিমাদ্রীশেখরের অবস্থা গুরুতর। বেশ কয়েকবার বমিও হয়েছে। সেই কারণেই চিকিৎসার জন্য শনিবার সকালে হিমাদ্রীশেখরকে নিয়ে কলকাতা আসবেন শান্তনু সেন। তবে আগামিকাল সকালে ত্রিপুরাতেই থাকবেন কুণাল।