ছাত্রনেতা আনিস খান মৃত্যুর ঘটনায় ২জন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার নবান্নে এই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করছে ও কড়া পদক্ষেপ করছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এদিন নবান্নে শিল্প বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমতায় সবে তদন্ত শুরু হয়েছে। সিট দ্বিতীয়বার দেহ ময়নাতদন্ত করতে গেলেও পরিবারের লোকেরা অনুমতি দেননি। পুলিশের বিরুদ্ধে ওরা একটা অভিযোগ করেছেন। আমি নিরপেক্ষা তদন্ত করতে বলেছি। ২জন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা হবে। কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’ তিনি নিরপেক্ষ তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে রাজি নন বলেও সাফ জানিয়েদেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘আইন আইনের মতো চলবে। পুলিশকে পুলিশের কাজ করতে দিন। দোষ করলে কড়া ব্যবস্থা হবে।’ এদিকে আনিস খানের মৃ্ত্যুর প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার কলকাতায় বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল। মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়ে মিছিল করে জামিয়ার পড়ুয়া ও বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। মিছিল ঘিরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শহরের যান চলাচল। যা নিযে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘কাল শহর অবরুদ্ধ হয়েছিল। ওনেকেই ডিস্টার্ব ফিল করেছেন। বিমান ধরতে পারেননি অনেকেই। কিছু ঘটলেই সরকার পদক্ষেপ করছে। তাই কিছু হলেই আন্দোলেনর নামে কলকাতায় বিক্ষোভ বন্ধ হোক।’ এরপরই রাজ্যের বিরোধী দলগুলিকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এরপরই সিবিআই প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা । সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান । মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম, উন্নাও থেকে হাথরস, সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে কোথাও অপরাধের সুরাহা হয়নি । তাপসী মালিক তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে ছিল ৷ কোনও সমাধান হয়েছে ? রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরির কিনারা হয়েছে ? সেটাও তো সিবিআইয়ের হাতে ছিল ৷” আনিশের পরিবারকে আশ্বস্ত করে বলেন, “কোনও অন্যায় হয়ে থাকলে শাস্তি হবেই ৷ কেউ রেহাই পাবে না ৷ রাজ্য প্রশাসনের উপর ভরসা রাখুন ৷ পুলিশ পুলিশের কাজ করবে । আইন আইনের পথে চলবে ।”