আস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার আগেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিলেন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। বুধবার রাতেই আস্থা ভোটের উপরে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছিলেন দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা। তার পরেই রাজ্যবাসীর উদ্দেশে ফেসবুকে ভাষণ দেওয়ার সময়েই ইস্তফার কথা জানান ঘোষণা করেন তিনি। শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকেই নয়, বিধান পরিষদের সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন উদ্ধব। এদিন রাতে সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খাওয়ার পরেই রাজ্যবাসীর উদ্দেশে ফেসবুক লাইভে আসেন উদ্ধব ঠাকরে। আবেগপ্রবণ কণ্ঠে দলের বিদ্রোহী বিধায়কদের নিশানা করে বলেন, ‘ঠাকরে পরিবার যাদের সব কিছু দিয়েছে আজ তারাই অসন্তুষ্ট। তারাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সব কিছু পেয়ে ঠাকরে পরিবারকে ভুলেছে। আর যাদের কিছুই দিইনি, তাঁরা দুঃসময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এমনকী আমার জন্য কংগ্রেস মন্ত্রিসভা ছাড়তেও রাজি হয়েছিল।’ দলের অধিকাংশ বিধায়ক তাঁকে ছেড়ে চলে গেলেও শিবসৈনিকরা তাঁর পাশে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র। তাঁর কথায়, ‘কয়েকজন বিধায়ক চলে গেলেও আমার কাছে শিবসেনা রয়েছে। সেই শিবসেনাকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।’ এদিন বালাসাহেব ঠাকরের ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়ে অওরাঙ্গাবাদের নাম শম্ভাজি নগর ও ওসমানাবাদের নাম ধারাশিব রাখা হয়েছে বলেও ঘোষণা করেন উদ্ধব। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে উদ্ধবের ইস্তফার পরেই রাজ্যে পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। রাতেই দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। বিক্ষুব্ধ শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডের সঙ্গেও কথা বলেন। রাতেই গুয়াহাটি থেকে গোয়ায় পৌঁছেছেন বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়করা। আগামিকাল মুম্বই ফিরছেন।