বিদেশ

আস্থাভোটে জয় বরিস জনসনের

দলীয় এমপিদের আনা আস্থাভোটে বাজিমাত করলেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা তথা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বরিসের পক্ষে ভোট পড়েছে ২১১। আর বিপক্ষে ১৪৮। অর্থাৎ ৫৯ শতাংশ দলীয় সাংসদ বরিসের উপরেই আস্থা রাখলেন। এর আগে ২০১৮ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে আস্থাভোটে কোনওমতে উতরে গেলেও ৬ মাস পর তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১৯ সালে বিপুল ভোটে জিতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হন বরিস। কিন্তু পার্টিগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে সম্প্রতি প্রবল অস্বস্তিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁরই দল কনজারভেটিভ পার্টির অন্তত ৫৪ জন এমপি সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে আস্থাভোটের ডাক দেন। সেই মতো সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধে ৬টা থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে শুরু হয় ভোট। চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। ভোট গণনার ফল প্রকাশ হয় স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (ভারতীয় সময় রাত দেড়টা)। দেখা যায় আস্থাভোটে জিতে গিয়েছেন বরিস। ফলে দলীয় নেতৃত্ব এবং প্রধানমন্ত্রীর পদে আরও অন্তত এক বছর থাকবেন বরিস। কারণ একবার আস্থাভোট হয়ে গেলে অন্তত এক বছর আগে আর আস্থাভোট করা যায় না। জানা গেছে প্রধানমন্ত্রীকে সরাতে গেলে অন্তত ১৮০ জন কনজারভেটিভ এমপি–কে তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দিতে হত। কিন্তু দলের ২১১ জন এমপিই বরিসের পাশে রয়েছেন। আস্থাভোটে জিতলেও পার্টিগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে বরিসকে বেশ অস্বস্তির মধ্যে থাকতে হয়েছে। ২০২০ সালে ব্রিটেন জুড়ে যখন কড়া কোভিড বিধি জারি ছিল, সেই সময়ে খাস প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নিয়ম ভেঙে অজস্র পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথমে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে আয়োজিত সেই সব পার্টির কথা অস্বীকার করলেও রিপোর্ট পেশের পরে সমস্ত কিছুর দায় নিজে নেন বরিস। তবে পদত্যাগ করেননি। বিপুল চাপের মধ্যে এবার আস্থাভোটেও উতরে গেলেন। বোঝা গেল বরিসের উপরেই এখনও আস্থা রয়েছে ব্রিটেনের।