কাফিল খান মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল যোগী সরকার। উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী ধারায় মামলা করা যাবে না। এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়ই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করার পরে গত জানুয়ারি মাসে কাফিলকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গোরখপুরের ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, বক্তৃতার মাধ্যমে হিংসা ছড়ানোর। পরে জামিন পেলেও ফের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে কাফিল খানকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কাফিল। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (NSA) এর আওতায় মামলা করা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে ধাক্কা খায় যোগী সরকার। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানেও মুখ পুড়ল উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে মন্তব্য করেন, কোনও ফৌজদারি মামলার বিচার হয় তার গুরুত্ব অনুযায়ী। অন্য একটি মামলা করে কোনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দমনমূলক আইন প্রয়োগ করা যায় না। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কেই মান্যতা দিয়ে শীর্ষ আদালত বলে, সঠিক রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই রায়ই বহাল থাকবে। NSA আইনে কাউকে গ্রেফতার করলে এক বছর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখা যায়। গত অগাস্টে তিন মাসের জন্য কাফিল খানের হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করে সরকার।সেপ্টেম্বরে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট কাফিলকে মুক্তি দেয়। বলা হয়, এভাবে কাফিলকে আটক করে রাখা ‘বেআইনি’। সেই রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।রায়কে স্বাগত জানিয়ে কাফিল খান বলেন, আবার একবার আমাকে জেলে পুরতে ব্যর্থ হল যোগী সরকার। সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ। বৃহস্পতিবার টুইটারে কাফিল খান-ই জানান, “জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (NSA) অধীনে আমাকে আটকে রাখা বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। কিন্তু তাঁদের সেই পিটিশান খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অবশেষে বিচার পেলাম।” দেশের আইনের উপর তাঁর সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে বলে জানান কাফিল।