উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে ঘটে গেল মর্মান্তিক কাণ্ড। শুক্রবার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের (ব্যাংক অব বরোদার) শাখায় গিয়েছিলেন রেলকর্মী রাজেশ কুমার। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী। রাজেশের মুখে মাস্ক ছিল না। আর তা নিয়েই ব্যাংকের ভিতরে বেসরকারি সংস্থার এক নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বচসা শুরু হয় রাজেশের। আচমকাই রাজেশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয় ওই নিরাপত্তারক্ষী। রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যাঙ্কের ভিতরেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। তাঁর উরু দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে। ঘটনার একটি ২৭ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে শোনা গেছে, রাজেশের স্ত্রী বলছেন, ‘কেন গুলি চালালেন আপনি?’ তৃতীয় এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা গেছে, ‘আপনি এভাবে গুলি চালালেন কেন? বুঝতে পারছেন, এখন আপনাকে জেলে যেতে হবে।’ ঘটনার পরই রাজেশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি ভাল আছেন। ওই নিরাপত্তারক্ষীকে আটক করা হয়েছে। তবে ওই নিরাপত্তারক্ষী দাবি করেছেন, ‘আমিও আহত হয়েছি। জামার বোতাম ছিড়ে গেছে। ধস্তাধস্তিতে বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে গিয়েছিল। ওই ব্যক্তির মুখে মাস্ক ছিল না। আমি অনুরোধ করার পর উনি মাস্ক পড়েন। কিন্তু এরপরই আমার সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। ধস্তাধস্তিতে আচমকাই গুলি চলে যায়।’ রাজেশের এক আত্মীয় বচসার কথা স্বীকার করলেও তিনি দাবি করেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই গুলি চালানো হয়েছে। ওই আত্মীয়ের কথায়, ‘ব্যাংকে ঢোকার সময় ওই নিরাপত্তারক্ষী মাস্ক পরতে বলেছিল। এরপর রাজেশ মাস্ক পরার ওই নিরাপত্তারক্ষী জানায় এখন লাঞ্চ টাইম। পরে আসুন। এরপর বচসা হয়। আচমকা নিরাপত্তারক্ষী গুলি চালিয়ে দেয়।’ পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ব্যাংকের তরফে বচসার কথা স্বীকার করা হয়েছে।
এর আগে গুজরাতের সুরাতের উমরপাড়া থানার এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মাস্ক না পরায় এক বিবাহিত মহিলাকে ভয় দেখিয়ে বারংবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারিণীর দাবি, ২০২০-র লকডাউনের সময় তিনি একদিন দুধ কিনতে পালসানায় বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। মুখে মাস্ক ছিল না তাঁর। আচমকা ওই কনস্টেবল হাজির হন। থানায় নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁকে পালসানা থেকে অপহরণ করেন। কিন্তু থানার পরিবর্তে তাঁকে নবসারি রোডে এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র করে মারধর করেন। তাঁর আপত্তিকর ছবি তোলেন, তাঁকে ধর্ষণও করেন। পরে ছবিগুলি কাজে লাগিয়ে ব্ল্যাকমেল করে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওই কনস্টেবল।