বিদেশ

ফের আন্তর্জাতিক স্তরে মুখ পুড়ল ভারতের! ‘মণিপুর ও জম্মু-কাশ্মীরে ভ্রমণ করবেন না’, নাগরিকদের সতর্ক বার্তা আমেরিকার

আন্তর্জাতিক স্তরে মুখ পুড়ল ভারতের। মণিপুর, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল সহ বিরোধী দলগুলির তোলা অভিযোগকেই কার্যত মান্যতা দিল আমেরিকা! মণিপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এই দাবি বারবার করে এসেছে কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের সেই দাবিতে সন্তুষ্ট নয় আমেরিকা। তাই নিজের দেশের নাগরিকদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল হোয়াইট হাউস। ভারতে কোন কোন এলাকায় ভ্রমণ করা যাবে না তার একটি তালিকা তৈরি করেছে আমেরিকা। যার মধ্যে মণিপুর, জম্মু ও কাশ্মীরকে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে সেই তালিকায় স্থান পেয়েছে মধ্য ও পূর্ব ভারতের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলিও। ওয়াশিংটনের তরফে তাঁদের নাগরিকদের বলা হয়েছে, ভারতে ভ্রমণে করলে মণিপুর ও জম্মু-কাশ্মীরের মতো দুই রাজ্যে যাবেন না। এছাড়াও ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এবং ভারতের মধ্য ও পূর্বের একাধিক অংশ, যেখানে মাওবাদীরা সক্রিয় রয়েছে সেখানে যাবেন না। ভারতে ভ্রমণ বিষয়ক একটি নির্দেশাবলি রয়েছে আমেরিকার। সেটিকেই সংশোধন করে এমন নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই এলাকাগুলিতে তাঁদের নাগরিকদের যেতে বারণ করছে আমেরিকা? তার উত্তরে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ‘কাশ্মীরে যাবেন না সেখানে সন্ত্রাসবাদ এবং নাগরিক সমাজের অস্থিরতার কারণে। সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও সন্ত্রাসবাদের কারণে মধ্য ও পূর্ব ভারত এবং হিংসা-অপরাধের কারণে মণিপুরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে আমেরিকা বলেছে, ভারতে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। পর্যটন স্থানগুলিতে যৌন হেনস্তার মতো হিংসাত্মক ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। জঙ্গিরা যখন তখন হামলা চালিয়ে দিচ্ছে। তারা শপিং মল, পর্যটন স্থান, গণ পরিবহণের মতো জায়গাতেও হামলা চালাচ্ছে।’ শুধু এই বক্তব্য দিয়েই নয়, মার্কিন নাগরিকদের ভ্রমণের সুরক্ষার নিরিখে ভারতকে লেভেল ২তে রাখা হয়েছে। আবার ভারতের মধ্যেই কোনও কোনও এলাকাকে লেভেল-৪ স্থান দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মণিপুর, জম্মু ও কাশ্মীর, মধ্য ও পূর্ব ভারতের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলি রয়েছে। তবে পূর্ব লাদাখ ও লেহতে নাগরিকদের ভ্রমণে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি আমেরিকা। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপে এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর দেয়নি ভারত। তবে ভারতের একাধিক রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার এই নির্দেশিকা অস্বস্তিতে ফেলল এনডিএ সরকারকে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।