টানা বৃষ্টির জেরে ভূমিধস। বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৪৬ জন। ধসের জেরে রাস্তা ভেঙে সমতল থেকে বিচ্ছিন রানিক্ষেত আর আলমোরা। জ্বালানি সাশ্রয়ের নির্দেশ দিয়এছে প্রশাসন। জানিয়েছে, এই দুই জায়গায় জরুরি কাজ ছাড়া জ্বালানি ব্যবহার করা যাবে না। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরাখণ্ডে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
উত্তরাখণ্ড দু’টি অংশে বিভক্ত। গাড়োয়াল আর কুমায়ুন। এর মধ্যে কুমায়ুনই সবথেকে বেশি বিপর্যস্ত। সেখানে মারা গিয়েছেন ৪৬ জন। আর সেখানে নৈনিতালের অবস্থা সবথেকে খারাপ। খৈরানা, গরমপানি এলাকায় ধসের কারণে নৈনিতাল কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। হ্রদ উপচে জল ঢুকে এসেছে রাস্তায়। মল রোডও জলের নীচে। মৃতদের মধ্যে ২৮ জনই নৈনিতালের বাসিন্দা। এ ছাড়া আলমোড়ায় সাত জন এবং চম্পাওয়াতে ছ’জন মারা গিয়েছেন। পিথোরাগড় এবং উধম সিংহ নগরে এক জন করে মারা গিয়েছেন। মৃতদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে তাঁদের ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। কৃষকদেরও সাহায্য করা হবে। মঙ্গলবার আকাশপথে বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন
করেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার বিকেলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরাখণ্ড যাচ্ছেন অমিত শাহ। আকাশপথে জলমগ্ন এলাকা ঘুরে দেখবেন তিনি। পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পর্যালোচনা বৈঠকও করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজধানী দেরাদুন থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে রানিক্ষেতে এখন জ্বালানি তেল প্রায় নেই। যেটুকু আছে, তা জরুরি কাজে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। অনেক জায়গাতেই নেই মোবাইল, ইন্টারনেট পরিষেবা। ২৪ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকার পর এসেছে বিদ্যুত্। এর মধ্যেই জোরকদমে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গোটা কুমায়ুন অঞ্চলে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। তাঁদেরও উদ্ধার করা হচ্ছে। নৈনিতাল-হলদওয়ানি, রামনগর-আলমোড়া, ভোওয়ালি-আলমোড়া, কাঠগোদাম-চোরগালিয়া-সিতারগঞ্জ সড়ক এখনও বন্ধ। ধস সরানোর কাজ চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী চার ধাম যাত্রা বন্ধ রেখেছে।