মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। তার জেরে প্রবল ধস। উত্তরাখণ্ডে ক্রমেই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এ রাজ্যের পাঁচ বাঙালি মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও কারও পরিচয় মেলেনি। আটক এ রাজ্যের প্রায় ১৫০ জন পর্যটক। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। হাওড়ার বাগনানের তিন যুবক উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। বেহালা ও নদিয়ার রানাঘাটের দুই যুবকও নিখোঁজ হয়েছেন। ১৪ অক্টোবর উত্তরাখণ্ডের হরশিল থেকে হিমাচলের ছিটকুলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ১১ জনের একটি দল। ১৭ অক্টোবর থেকে নামে বৃষ্টি। এর পর থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডিআইজি ঋধিম আগরওয়াল জানিয়েছেন, ওই দলের পাঁচ সদস্যের দেহ মিলেছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধার কাজ ব্যহত হচ্ছে। আটকদের উদ্ধার করা যাচ্ছে না। তবে সব সময় উত্তরাখণ্ড সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও ওই রাজ্যের শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। পাশাপাশি, দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনারের কার্যালয়েও কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। সেখানেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, ‘অনেক জায়গা থেকে জল না নামায় উদ্ধারকাজ কঠিন হচ্ছে। তবুও সে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কাজ চালাচ্ছে। পরিস্থিতি অনুকূল হলে, উদ্ধারকাজে গতি আসবে।’ তাঁর পরামর্শ, পর্যটকরা যে যেখানে আটকে রয়েছে, সেখানেই যেন থাকেন। নয়তো খুঁজে পেতে সমস্যা হবে। ইতিমধ্যেই পরিবারের থেকে আটকদের ফোন নম্বর নেওয়া হয়েছে। নৈনিতাল থেকে কৌশানি যাওয়ার পথে রবিবার ভাওয়ালি গ্রামে আটকে পড়েন চুঁচুড়ার সাত বাসিন্দা। তাঁরা নিরাপদে রয়েছেন। উত্তরাখণ্ডে গিয়ে আটকে পড়েন হাওড়ার বাগনানের পাঁচ পর্যটক। তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা গিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির তিন ট্রেকারকে উত্তরাখণ্ডের দান্তুগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। কেদারনাথে আটকে পড়েছিলেন চুঁচুড়ার আর এক পরিবার। তাঁরাও রাতভর হেঁটে গৌরকুণ্ডে পৌঁছেছেন।