দেশ

৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা, করোনা যোদ্ধা এবং ষাটোর্ধ্বদের প্রিকশন ডোজ, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

বড়দিনের দিন বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৷ আগামী বছর ৩ জানুয়ারি থেকে দেশে ১৫-১৮ বছর বয়সিদের করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে শনিবার ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান আগামী বছর ১০ জানুয়ারি থেকে করোনার ‘প্রিকশন ডোজ’ দেওয়া হবে দেশে ৷ প্রথমে এই ডোজ পাবেন কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন ষাটোর্ধ্ব নাগরিকরা এবং চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ তবে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন দেখাতে হবে ৷ এদিন প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “করোনা মহামারীর সঙ্গে লড়াইয়ের এখনও পর্যন্ত অভিজ্ঞতা বলছে, সব নিয়ম মেনে চলাই কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রধান হাতিয়ার। আরেকটা উপায় হল টিকাকরণ। আমাদের দেশও বহুদিন আগে থেকে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করেছে।” প্রধানমন্ত্রী এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন, ১১ মাস ধরে দেশে টিকাকরণ অভিযান চলছে। দেশের সব নাগরিকদের চেষ্টাতেই ১৪১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া গিয়েছে। ভারতের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৬১ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই পেয়েছেন। প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন। অনেক রাজ্য কঠিন পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করেও ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ করেছে। খুব শীঘ্রই ন্যাজাল ভ্যাকসিন এবং বিশ্বের প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিন শুরু হবে।  তিনি দেশবাসীকে ফের সর্তক করে বলেন, “করোনা এখনও বিদায় নেয়নি। তাই বিজ্ঞানসম্মতভাবে আমাদের এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।” মোদির বক্তব্য, “আজ বিশ্বের বহু দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে। ভয় পাবেন না। সাবধান থাকুন। সতর্ক থাকুন। মাস্ক পড়ুন। হাত ধোবেন নিয়মিত। ভাইরাস যেমন মিউট্যান্ট হচ্ছে, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ছে।” এদিন  প্রধানমন্ত্রী এও জানান, “আজ দেশে ১৮ লক্ষ আইসোলেশনে বেড আছে। ৫ লক্ষ অক্সিজেন সাপোর্টেড বেড তৈরি হয়েছে। ১ লক্ষ ৪০ হাজার আইসিইউ বেড, ৯০ হাজার বেড বাচ্চাদের জন্যও আছে। ৩ হাজারের বেশি পিএসএ অক্সিজেন প্লান্ট কাজ করছে। দেশজুড়ে প্রায় ৪ লক্ষ অক্সিজেন সিলিন্ডার  দেওয়া হয়েছে।”