কলকাতা

ভ্যাকসিন নিতে হতে পারে প্রতি বছর, অনুমান বিশেষজ্ঞদের

একবার দিলেই জীবনভরের সুরক্ষা নয়, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোকক্কাল প্রভৃতি জীবাণুর মতো করোনার ক্ষেত্রেও ভ্যাকসিন দিতে হতে পারে নির্দিষ্ট সময় অন্তর। এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মহামারীবিদরা। প্রসঙ্গত, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রতিরোধে নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন নিতে হয় ফি বছর। অন্যদিকে, স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি নামক মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে প্রতি পাঁচ বছরে নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন নিতে হয়।  
আইসিএমআর-এর মহামারীবিদ্যা এবং সংক্রামক ব্যধি শাখার প্রধান সমীরণ পাণ্ডা বলেন, মনে হয় না, একবার টিকাকরণেই সারা জীবনের মতো করোনা বা সার্স কোভ-২ ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ মিলবে। হয়তো নিতে হবে বছর বছরই। কিন্তু তার কারণই-বা কী? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, পুরোটাই নির্ভর করছে করোনা আগামিদিনে কী ধরনের ব্যবহার করে তার উপর। সার্স, মার্স প্রভৃতি মারণ ভাইরাসের মতো মহামারী সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে গেলে সার্স কোভ-২ বা করোনা নিয়েও দুশ্চিন্তার কারণ থাকবে না। কিন্তু ইনফ্লয়েঞ্জার মতো যদি আচরণ করে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ভাইরাস তার চরিত্র বদলাতে থাকে, তাহলে ফি বছর টিকা নেওয়া ছাড়া আর কোনও গতি নেই। চিকিৎসকরা আরও জানাচ্ছেন, এক বছরের কিছু বেশি সময় ধরে চলা এই মহামারী বিশ্বকে হাড়ে হাড়ে বুঝিয়েছে, করোনা হলেও রোগীর শরীরে থাকা অ্যান্টিবডির আয়ু চিরস্থায়ী নয়। তিনমাস থেকে বড়জোর এক বছর। তারপর সেই রোগীর অবস্থা এখনও করোনা না-হওয়া পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই হবে। বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র ঘোষও এক সুরে বলেন, নিউমোনিয়া এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো করোনার ভ্যাকসিনও নির্দিষ্ট সময় অন্তর আবারও নিতে হতে পারে। তবে অনেকটাই নির্ভর করে তার চরিত্রের মতো।