আজ লক্ষ্মী পুজো। তবে তিথি অনুযায়ী এবছর শুক্র ও শনি দুই দিন ধরে পড়ছে লক্ষ্মী পুজো। আজ ৫টা ৪৬ মিনিট থেকে আগামীকাল রাত ৮টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত পূর্ণিমা তিথি। তাই দু’দিন সন্ধ্যায় পুজোর বিধান রয়েছে। মা লক্ষ্মীর হাত ধরেই ঘরে আসবে সমৃদ্ধি। তাই পুজোয় কোনওরকম কাপর্ণ্য চান না কেউই। কিন্তু সেই ধনদেবীর আরাধনা করতে গিয়েই মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়ছে। মধ্যবিত্তের চিন্তা বাড়িয়েছে অগ্নিমূল্য বাজারদর । ফুল ফল থেকে শাক-সব্জি সব কিছুর দামই আকাশ ছোঁয়া। নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্ত বাঙালির। ফলের দাম ক’দিন ধরেই আকাশ ছোঁয়া। যাদবপুর, গড়িয়া, মানিকতলা, শোভাবাজারে আপেলের কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। শসা ৭০ টাকা কেজি। নাশপাতির কেজি ১৫০ টাকা। মুসাম্বি লেবুর জোড়া ৩০ টাকা। মাঝারি মাপের কাঠালি কলা ৬০ টাকা ডজন। নারকেলের দাম উঠেছে ৪০-৫০ টাকায়। সব্জির বাজার দুর্গাপুজোর আগে থেকেই আগুন। নতুন করে দাম তেমন বাড়েনি। একেবারে ছোট মাপের ফুলকপি ৪০ টাকা পিস। পটল, বেগুনের কেজি প্রতি দাম ৭০-৮০ টাকা। বরবটির কেজি ৬০ টাকা। কাল, শুক্রবার লক্ষ্মীপুজো। তার আগে বাজারের এই অবস্থা। কয়েক বছর যাবৎ লক্ষ্মীপুজোর সময়ে বহু পরিবারের লোকজনই বাড়িতে তৈরি করার বিভিন্ন অসুবিধে থাকায় বাজার থেকে নারকেল ও তিলের নাড়ু, মুড়ি ও খইয়ের মোয়ার প্যাকেট কেনেন। দাম বেশি হলেও সে সবের বিক্রি অনেকটাই বেড়েছে। ফলে, দাম চড়েছে প্যাকেটবন্দি নাড়ু, মোয়ারও।