৬ মাসে ইস্তফা দিলেন বিজেপির চার মুখ্যমন্ত্রী
ভোটের মুখে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিজয় রুপানি। দীর্ঘদিন ধরেই বিজয় রুপানির পদত্যাগের খবর ঘুরপাক খাচ্ছিল রাজনৈতিক মহলে। গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠদের মতো রূপানির কাজে অখুশি ছিলেন মোদি-শাহ। গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আর এক বছর বাকি। তার আগেই সরকারে রদবদল। এভাবে শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিকের পদত্যাগের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রুপানি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার কোনও নির্দিষ্ট কারণ না জানালেও, দলের যাবতীয় নির্দেশ মেনে চলবেন বলেই জানিয়েছেন। ২০২২ সালে গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগেই মোদি রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন। ইস্তফার রূপানি বলেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দলের ‘কার্যকর্তাদের দায়িত্ব বদলে হয়। আমি দলের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম। আমি বিজেপির ন্যাশনাল প্রেসিডেন্টের অধীনে থেকে কাজ শুরু করব’। উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটকের পর এবার গুজরাটেও ভোটের মুখে বললাল প্রশাসনিক প্রধানের মুখ। আজ রাতের মধ্যে গুজরাত পৌঁছচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, রাজ্যের সব বিজেপি বিধায়ককে যত দ্রুত সম্ভব গান্ধিনগরে আসতে বলা হয়েছে। বিজয় রুপানির উত্তরসূরি বাছতে গান্ধিনগরে দলের রাজ্য সদর কার্যালয়ে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন বিজেপি-র সিনিয়র নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বি এল সন্তোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য এবং পরষোত্তম রুপালারা। বিজয় রুপানির পদত্যাগের সঙ্গে সঙ্গেই এর থেকেই স্পষ্ট, দলের নির্দেশেই ইস্তফা দিতে হয়েছে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে।
শনিবার ইস্তফা দেওয়ার পরে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি বলেন, ‘পরবর্তী নেতৃত্ব গুজরাতের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে’। পরে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নতুন নেতৃত্বে রাজ্যের উন্নয়ন চলবে। প্রশাসনে নতুন এনার্জি আসবে। সেকথা ভেবেই আমি ইস্তফা দিয়েছি।’ রূপানির সঙ্গে তাঁর পুরো মন্ত্রিসভা ইস্তফা দিয়েছে। এই অবস্থায় তিনটি পথ খোলা আছে বিজেপির সামনে। প্রথমত, আর একজনকে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিয়োগ করা। তাঁর সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রীকেও নিয়োগ করতে হবে। দ্বিতীয় পথ হতে পারে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা। তৃতীয় পথ হতে পারে বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আনা। বিজেপি সূত্রে খবর, ভোট এগিয়ে নিয়ে আসার কোনও পরিকল্পনা নেই। সম্ভবত নতুন কাউকে মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করা হবে। সদ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেওয়া মনসুখ মান্ডব্য গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন পদত্যাগী উপমুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল। একটি সূত্রে শোনা যাচ্ছে, রাজ্যসভার সদস্য মনসুখ মান্ডব্য ইতিমধ্যে বিজয় রূপানির বাড়িতে গিয়েছেন। কেন রূপানি এবং তাঁর মন্ত্রীরা পদত্যাগ করলেন জানা যাচ্ছে না।