পৌর নির্বাচন শুরু হতেই অশান্তি ছড়াল ত্রিপুরায় ৷ আগরতলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল পালের এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল ৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ মকপোলের সময় হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে ৷ আগেই ত্রিপুরা পৌর নির্বাচনের সবক’টি বুথ ‘স্পর্শকাতর’ ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷ অথচ এদিন সকালে ত্রিপুরায় পৌরভোট শুরু হতেই শুরু হয় হিংসা, রক্তারক্তি ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, ভোট দিতে এসে সাধারণ মানুষ ভয়ে কাঁপছে ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেল মনোজ চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তিকে ৷ তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের পোলিং এজেন্ট ৷ সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘‘একদল দুষ্কৃতী আমাকে মারতে মারতে নিয়ে যায় ৷ পুলিশ নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়েছিল ৷ আমার মাথা ফেটে গিয়েছে ৷ দু’টো সেলাই পড়েছে ৷ চিকিৎসক সিটি স্ক্যান করতে বলেছেন ৷’’ আগরতলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শ্যামল পালের দাবি, তাঁর দোকান ও বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ৷ এদিন আগরতলার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তপন বিশ্বাসকেও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা নৃশংসভাবে মেরেছে বলে অভিযোগ ৷ হিংসা প্রসঙ্গে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা সুবল ভৌমিকবলেন, ‘‘কাল (বুধবার) রাত থেকেই বিজেপি তাণ্ডব শুরু করেছে ৷ আজ সকাল থেকে যেখানেই তৃণমূলের প্রার্থী ও কর্মীদের দেখছে, সেখানেই তাঁদের উপর আক্রমণ করছে ৷ পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশন কেউ কোনওরকম সহযোগিতা করছেন না ৷’’ সুবল ভৌমিকের বক্তব্য, এখানে এবারই প্রথম পৌরভোটে আধাসামরিক বাহিনী নামাতে হয়েছে ৷ কিন্তু তারপরও সন্ত্রাস ঠেকানো যাচ্ছে না ৷ বিলোনিয়ায় সিপিআইএম প্রার্থীর বাড়িতেও হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ এমনকী, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও বলেছেন, ‘‘নির্বাচন যদি অবাধ হয়, তাহলে বিজেপি হেরে যাবে ৷’’ যদিও বিজেপি সমস্ত হামলার দায় অস্বীকার করেছে ৷