২০ জেলার মোট ১০৮ পুরসভাতে ভোটের বিভিন্ন চিত্র দেখল বাংলার মানুষ। বঙ্গবাসী দেখল পুলিশ ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাও। বিক্ষিপ্ত অশান্তি ও নানা অভাব-অভিযোগের মাঝেই শেষ হয়েছে পুরভোট। রাজ্যের শাসকদল এই ভোট সুষ্ঠুভাবে হওয়ার কথা জানালেও, কমিশন থেকে পুলিশ কিংবা তৃণমূল প্রার্থীদের দুষেছে সিপিএম-কংগ্রেস। ভোটে অশান্তির কারণে আবার আগামিকাল বাংলা বনধ ডেকেছে বিজেপি, আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে গেরুয়া শিবির। যদিও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বিঘ্নে ভোটের খবর সামনে আসছে। মোট ৪৪ হাজার রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এর মাঝেই বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন চিত্র ধরা পড়েছে। সবচেয়ে বেশি অশান্তি হয়েছে মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনায়। নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রামের মত জেলাগুলিতে। উত্তর ২৪ পরগনায় একাধিক পুরসভায় বুথে বুথে ইভিএম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির দিকে। ভোটে হার নিশ্চিত জেনেই সাংসদ অর্জুনের নির্দেশে ইভিএম ভাঙার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন দু’জন। টিটাগড়, হালিশহরে বোমা মারার ঘটনাও ঘটেছে। তবে মূল ফোকাস ছিল মুর্শিদাবাদের দিকেই। নবাবের জেলায় ধুলিয়ান, বহরমপুর, জঙ্গিপুরে অশান্তির চিত্র ধরা পড়েছে। জঙ্গিপুরেও ইভিএম-ভাঙার দৃশ্য দেখা গিয়েছে। বহরমপুরে সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ঘিরেও বারবার বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা ছড়িয়েছে ধুলিয়ান পুরসভায়। ফরাক্কার এসডিপিও-এর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে ধুলিয়ানে। উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে আবার মদন মিত্রের গাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। আহত হয়েছেন অনেকে। ৭৭ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে৷ কিন্তু শেষ অবধি গণতন্ত্রের উৎসব উৎসব থাকল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল৷ বাম, ডান সব দলই এখানে কাঠগড়ায়৷ সুকান্ত মজুমদার থেকে দিলীপ ঘোষ, কুণাল ঘোষ থেকে অনুব্রত মন্ডল, একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করলেন৷ রক্ত ঝরল, গুলি চলল৷ মানুষ ভোট দিলেন ।