জেলা

চাই না রাবণদের চাই না, দলের মধ্যেও বিজেপির মহিলা কর্মীরা সুরক্ষিত নয়, এদের জব্দ করে দিনঃ মমতা

আজ পূর্ব মেদিনীপুরে ৩টি সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম সভাটি তিনি করেন হলদিয়ায়। এদিন হলদিয়ার সভা থেকে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, হলদিয়া বন্দরের উন্নয়ন হচ্ছে। তাজপুরে ১৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ। বাড়বে আশপাশের এলাকার কর্মসংস্থান। ২৫ হাজার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান। মৎস্যজীবীদের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ। মৎস্যজীবী পরিবারকে এক কোটি ৩০ লক্ষ সাহায্য করেছি।তিনি আরও বলেন, বাড়ির মহিলাদের হাত খরচ বাবদ ৫০০ টাকা। তফসিলি পরিবার পাবে ১০০০ টাকা। ১৮ বছরের ওপর বিধবাদের হাজার টাকা পেনশন। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা, ট্যাব কেনা বাবদ। ক্ষমতায় এলে দুয়ারে রেশন কর্মসূচি। তিনি শুভেন্দুর নাম না করে বলেন, মেদিনীপুরের গদ্দারদের আমি এতদিন পুষেছি। যাকে পছন্দ হত না, জেলে ভরে দিত। পাশকুড়ার আনিসুর এখন জেলে। কার্যত এদিন শুভেন্দুকে ‘আপদ’ বানিয়ে দিলেন মমতা। সঙ্গে শুনিয়েও দিলেন শুভেন্দু চলে যাওয়ায় তিনি ‘বেঁচে’ গিয়েছেন। একই সঙ্গে মমতা আমজনতার কাছে আবেদন রেখেছেন যাতে তাঁরা বিজেপিকে এমন গোল দেন যেন সেই গোলের ধাক্কায় একদম মাঠের বাইরে চলে যায় বিজেপি।এদিন মোদি সরকারকে এক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আভিযোগ করেন, দেশের অর্থনীতিকে শেষ করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সব বিক্রি করে দিচ্ছে, হলদিয়া বন্দর বিক্রি করতে পারে। রেল, ব্যাঙ্ক, বিএসএনএল সব বিক্রি করে দিয়েছে। ভারতের জঘন্য পার্টি বিজেপি। খুন-দাঙ্গা করে লোক মারে। ধর্ষণ, হত্যা করে জ্বালিয়ে দেয়। দলের মধ্যেও বিজেপির মহিলা কর্মীরা সুরক্ষিত নয়। দেশের সবছেয়ে বড় তোলাবাজ দল বিজেপি। বছরে ৪ বার দুয়ারে সরকার। পিএম-কেয়ার-এর নামে কোটি কোটি টাকা তুলেছে হিসেব নেই। বিনামুল্যে রাজ্যবাসীকে টিকা দিতে চাই, প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিচ্ছেন না। বিজেপি শাসিত রাজ্যে দলিতরা অত্যাচারিত । আমি ঘরে বসে থাকলে বিজেপি রাজ্যে ঢুকে যাবে। তিনি এও বলেন, ২৯৪টি কেন্দ্রেই প্রার্থী আমি। বাংলায় এনপিআর করতে দেব না। বাংলার মানুষ এই রাজ্যেই থাকবে। সিপিএম-এর হার্মাদরা এখন বিজেপিতে গিয়েছে ।কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘ কঙ্কাল কাণ্ডের মালিকরা এখন বিজেপিতে। গদ্দারদের স্তব্ধ করে দিন। জব্দ করে দিন। সিপিএমকে আপনারা ভোট দেবেন না। সিপিএমকে দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া। বিজেপিকে বিদায় দিন, বাংলাকে শান্ত থাকতে দিন। ১ এপ্রিলে আপনারা প্রথম গোলটা মারবেন। এমন করে গোল মারবেন যে বিজেপি যেন একেবারে বোল্ড আউট হয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। দাঙ্গাকারী, দৈত্য, কৃষক হত্যাকারীদের চাই না। ধমকাতে এলে হাতা খুন্তি নিয়ে রুখে দাঁড়াবেন। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে যুদ্ধ হবে। যাঁরা তোলাবাজ ছিল, টাকা বাঁচাতে বিজেপিতে গেছে। আগে পূর্ব মেদিনীপুরে আসতে অনুমতি নিতে হত। আপদ বিদায় হয়েছে, বেঁচে গেছি।’এদিন তিনি হলদিয়ার সভামঞ্চ থেকে মহামায়া স্ত্রোত পাঠ করেন মুখ্যমন্ত্রী।