ভবানীপুরের উপনির্বাচন সংক্রান্ত দাবিদাওয়া নিয়ে সোমবার নির্বাচন কমিশনের অফিসে যায় বিজেপির (BJP) প্রতিনিধি দল। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, ভবানীপুরে ভোটের দিন নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে হবে। প্রতি বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। গোটা ভবানীপুর জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করার কথাও বলা হয়েছে। ভবানীপুরে বিজেপির হয়ে ভোটের প্রচারে গিয়ে সোমবারই হামলার মুখে পড়তে হয়েছে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এরপর ভবানীপুরের ভোট স্থগিত করার দাবি জানান তিনি। বলেন, ভবানীপুরের ভোট করার মতো পরিস্থিতিই নেই। সোমবারই নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে অবশ্য দিলীপ ঘোষের বুলি আওড়ায়নি বিজেপি। তাঁরা ১৪৪ ধারার দাবি করেছে। ভোট স্থগিত করার কথা বলেনি। দিলীপ ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় এদিন রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। যদুবাবুর বাজার এলাকায় দিলীপ ঘোষের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। তৃণমূলক্ররমীরা বিজেপি কর্মীদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় তুলকুলাম কাণ্ড বাঁধে ওই এলাকায়। ধাক্কাধাক্কিতে এক বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হন। দিলীপ ঘোষ বলেন, ”আমি প্রচারে গেলে আমাকে চার দিক দিয়ে ঘিরে আক্রমণ করে তৃণমূলের গুন্ডারা। বাধ্য হয়ে ভয় দেখতে আমার নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক বার করেন। এক ঘণ্টা আগে আমাদের সাংসদ অর্জুন সিং প্রচারে গেলে তাঁকেও ধাক্কাধাক্কি করা হয়। তাঁকে নিরাপত্তারক্ষীরা বার করে নিয়ে যেতে বাধ্য হন। এর আগে প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকেও আক্রমণ করা হয়েছে। রাজ্য সভাপতিকেও বাধা দেওয়া হয়েছে। এত ভয় দিদিমণির?” কমিশনে গিয়ে আজকের ঘটনার নিন্দা করেছেন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, শিশির বাজোরিয়া ও প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। শিশির বাজোরিয়া সরাসরি দাবি করেছেন, মদন মিত্রের লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বিকি,ফর্সা লালু,লাডলা আহমেদ সহ ৮ জনের নামও জানিয়েছেন তিনি। স্বপন দাশগুপ্ত বলেছেন, দুটি দূভাগ্যপূর্ন ঘটনা। শীতলা মন্দিরের কাছে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ওপর হামলা,তারপর দিলীপ ঘোষের ওপর হামলা হয়। আপনারা দেখেছেন এই হামলা গুন্ডাবাহিনী করেছে। তারা কাদের লোক জানা আছে। এটা করা হয় একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে। ভোট কমলে তৃণমূলের লাভ হবে বলেই এমন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বপন দাশগুপ্ত। কমিশনের কাছে এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়, গোটা ভবানীপুর জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করতে হবে ভোট চলাকালীন। বুথের বাইরে ও ভিতরে রাখতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলকাতা পুলিশ যেন দর্শক থাকে। মানুষ যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হোক।