ছাড় দেওয়া হয়েছে মাংস ও মিষ্টির দোকানকেও, এছাড়া বিদ্যুত্, হেল্থ কেয়ার, টেলিকম, পরিবহন ব্যবস্থা, মুদির দোকান সহ যানবাহনের যন্ত্রাংশের দোকান এবং দুধ সরবরাহ পরিষেবাতেও থাকছে ছাড়, সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৫০ জন পর্যন্ত জমায়েতের অনুমতি
করোনা সংক্রমণ রুখতেই এই কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। গতকাল নির্দেশিকায়, আজ শনিবার থেকে রাজ্যে সমস্ত শপিং মল, বিউটি পার্লার, স্যুইমিং পুল, জিম, রেস্তোরাঁ, পানশালা, সিনেমা হল, স্পা, স্পোর্টস কমপ্লেক্স বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । দোকান, বাজার খোলার সময়ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে গতকালের নির্দেশিকায়। সকাল ৭ থেকে বেলা ১০টা এবং দুপুর ৩টে থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দোকান- বাজার খোলা থাকবে। তবে মুদি দোকান এবং ওষুধের দোকান সমস্ত জরুরি পরিষেবাকে এই সময়সীমার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রেও মানতে হবে কোভিড প্রোটোকল। পাশাপাশি সামাজিক অনুষ্ঠানেও জমায়েতের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য। কিন্তু তার মধ্যেও বেশ কিছু জিনিসে থাকছে ছাড়। আজ একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য। বিয়েবাড়ি এবং সমস্ত রকমের সামাজিক অনুষ্ঠানে যদিও অনুমতি দিয়েছে সরকার। সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৫০ জন পর্যন্ত জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হল। কোভিড বিধিনিষেধের সেই তালিকায় ছাড় দেওয়া হয়েছে মাংস ও মিষ্টির দোকানকেও। খোলা থাকবে কাঁচা মাংস ও মিষ্টির দোকান। এছাড়াও এই ছাড়ের তালিকায় রয়েছে, বিদ্যুত্, হেল্থ কেয়ার, টেলিকম, পরিবহন ব্যবস্থা, মুদির দোকান সহ যানবাহনের যন্ত্রাংশের দোকান এবং দুধ সরবরাহ পরিষেবাও থাকছে ছাড়। এই সমস্ত পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও স্যানিটাইজারের ব্যবহার ও সোশ্যাল দূরত্ব মেনেও চলতে হবে। তবে রাজ্যের এই বিধিনিষেধের মধ্যে মিষ্টি ও কাাঁচা মাংসের দোকানকে না রাখায় কিছুটা স্বস্তিতে ব্যবসায়ীরা। করোনার জেরে এমনিই মন্দা রয়েছে ব্যবসায়। তাই নতুন করে ফের চিন্তা শুরু হয়েছে মানুষের মধ্যে।গোটা এপ্রিল মাস ধরেই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ আরোপ না করলে সংক্রমণের হারে লাগাম টানা সম্ভব হত না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। করোনাকে আটকাতেই এই চেষ্টা সরকারের।