সম্পাদকীয়

মাস্টারমাইন্ড পিকে, কোন কৌশলে ভবানীপুরে লড়াই?

নিবেদিতা শেঠঃ একের পর এক চমক ভবানীপুর উপনির্বাচনে। ভবানীপুরের ভোটার ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। বলা বাহুল্য, তৃণমূলের মাস্টারস্টোক কিংবা বলা সমীচীন পিকের নয়া কৌশল। স্বীকার না করলেও নতুন করে ভাবনায় বিজেপি। পুরী, স্মৃতি, সম্বিত, মনোজ তিওয়ারিরা দিল্লি থেকে কলকাতায় ছুটে আসলেও ভবানীপুর কী অন্য সুর গাইবে? রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে জনসমক্ষে অবশ্যই আসতে পেরেছেন বিজেপির আইনজীবী প্রার্থী। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সফল হওয়া নিয়ে নিঃসন্দেহে সংশয় তো আরও জোরালো হল এখন। পিকের নয়া কৌশলকে কীভাবে সামলাবে এরাজ্যে প্রধান বিরোধী দল? আদৌ দাবার কোন চালে ভবানীপুরে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল, তা জানতে অধীর আগ্রহী রাজনৈতিক মহল। যদিও বিজেপির শীর্ষ মহল যে শেষ চেষ্টা করবে না। তা একেবারেই বলা যায় না। সব মিলিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার ভবানীপুরে প্রেস্টিজ ফাইট । ভোটের ময়দানে অনেক আগেই নেমে পড়েছে সব দলই। পাল্লা দিয়ে প্রচারে ঝড় তুলেছে তৃণমূল আর বিজেপি। আজ শেষ রবিবারীয় প্রচারে ঝড় তুলতে মরিয়া ছিল বামেরাও। সুজন চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে একেবারে মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির সামনেই প্রচারে পৌঁছে গেলেন শ্রীজীব বিশ্বাস। পুলিশের বাধা ধোপে টিকল না। সোমবার জমজমাট প্রচারের পাশাপাশি নজর কাড়বে ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের শুনানিও।