১৬ জুন থেকে ৩১ জুলাই। গত ৪৬ দিনের মধ্যে ৩০ লক্ষেরও বেশি ভারতীয় অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করল হোয়াটসঅ্যাপ। জনপ্রিয় এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, সিকিউরিটি উন্নত করার কারণে ব্যানের সংখ্যা ২০১৯ সাল থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন তথ্যপ্রযুক্তি বিধি, ২০২১-এর অধীনে তার দ্বিতীয় কমপ্ল্যায়েন্স রিপোর্টে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ‘অ্যাকাউন্ট সাপোর্টে’র জন্য ১৩৭টি রিপোর্ট এসেছে। যার মধ্যে একটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের কাছে ৩১৬টি অ্যাকাউন্ট ব্যানের অনুরোধ এসেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইমেলের দু’টি চ্যানেলে ইউজারদের রিপোর্ট এবং অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। তার ভিত্তিতে ভারতের আইন বা পরিষেবার শর্ত লঙ্ঘন করার জন্য এই অ্যাকাউন্টগুলির বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপের প্রিভেনশন এবং ডিটেকশন মেথড মারফত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারতে ব্যবহারকারীদের তরফে প্রাপ্ত যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। হোয়াটসঅ্যাপের তরফে আরও জানানো হয়েছে, অনুমোদন না নিয়েই স্বয়ংক্রিয় বা বাল্ক মেসেজ (স্প্যাম) পাঠানোর কারণে ৯৫ শতাংশেরও বেশি অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবস্থা আরও উন্নত করার ফলে ২০১৯ সালের পর থেকে এই সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে, সংস্থার প্রথম কমপ্ল্যায়েন্স রিপোর্টে ১৫ মে থেকে ১৫ জুনের মধ্যে ২০ লক্ষ ভারতীয় ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ।